ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পলাতক ২৩ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির ছয়টি মামলার বিচার হবে পৃথক দুটি আদালতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ ও ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ তিনটি করে মামলা পাঠানো হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাই মামলাগুলোতে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
এর আগে গত রবিবার (২০ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত থেকে মামলাগুলো বিচারের জন্য বদলি করা হয়।
এর আগে মামলার পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়েছে মর্মে দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়।
গত ৬ জুলাই বিজি প্রেস থেকে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম।
৬০ কাঠা প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির এ ছয়টি মামলায় শেখ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, শেখ রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রয়েছেন।
এ ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মো. নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
চলতি বছরের গত ১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ছয়টি মামলা করা হয়।