ফেরারি আসামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন- নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এই প্রস্তাব এখন আইন-আদালত ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছে। ‘ফেরারি’ শব্দটি পরিচিত হলেও ঠিক কীভাবে একজন আসামিকে ফেরারি ঘোষণা করা হয় বিষয়টি বুঝতে চাচ্ছেন অনেকেই।সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক আলোচিত বহু মামলায় ইসির হয়ে সুপ্রিম কোর্টে লড়েছেন।বুধবার (৩ আগস্ট) তিনি দৈনিক খবরের কাগজকে বলেন, ‘আদালত থেকে সাধারণত একজন আসামিকে হাজির হওয়ার নির্দেশ যায় তার বাসায় বা ঠিকানায় নোটিশ পাঠানোর মাধ্যমে। এরপর তিনি আদালতে হাজির না হলে আদালত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন ওই আসামিকে আদালতে হাজির করার জন্য। পুলিশ যদি তাকে আদালতে হাজির করতে না পারে, তখন তাকে হাজির হওয়ার জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার নির্দেশ দেন। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরও যদি ওই আসামি আদালতে হাজির না হন, তখন আদালত তাকে ফেরারি বা পলাতক ঘোষণা করেন।’প্রসঙ্গত, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া আওয়ামী লীগের অধিকাংশ শীর্ষ নেতা বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। তাদের প্রায় সবার বিরুদ্ধে আদালতে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। আবার তাদের অনেকের অনুপস্থিতিতে আদালতে মামলা চলছে। এই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।আবার দলটির অনেক নেতা বর্তমানে কারাগারে আছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- আমির হোসেন আমু, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, কাজী জাফরুল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. দীপু মনি, র আ ম উবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, ইমরান আহমেদ, ফরহাদ হোসেন, সাধন চন্দ্র মজুমদার, টিপু মুনশি, গোলাম দস্তগীর গাজী, আসাদুজ্জামান নূর, নুরুল ইসলাম সুজন, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ, আবদুল লতিফ বিশ্বাস, নুরুজ্জামান আহমেদ ও রমেশ চন্দ্র সেন। এ ছাড়াও সালমান এফ রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী কারাগারে রয়েছেন।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রীদের মধ্যে কারাগারে আটক রয়েছেন- জুনাইদ আহমেদ পলক, ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক, কামাল আহমেদ মজুমদার, জাকির হোসেন, শহীদুজ্জামান সরকার, ডা. এনামুর রহমান, দীপংকর তালুকদার প্রমুখ।