X

অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের শুল্ক জিরো করে দিয়েছি : অর্থ উপদেষ্টা

অত্যাবশ্যকীয় জিনিসের ডিউটি (শুল্ক) জিরো করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বাড়লেও জিনিসপত্রের দামের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না। আপনি ছাড়টা দেখবেন। মূল্যস্ফীতির মূল ওয়েটের ইন্ডিকেটরগুলো হলো- চাল, ডাল এগুলো; সেটা আপনারা জানেন। আমরা যেসব জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছি এগুলো আমাদের মূল্যস্ফীতি বাড়ানোর ক্ষেত্রে খুবই কম গুরুত্বপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, তিন তারকার ওপরে যে রেস্টুরেন্টগুলো সেগুলোর ক্ষেত্রে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। ভাতের রেস্টুরেন্ট বা অন্য রেস্টুরেন্ট থেকে তো যাবে না। থ্রেসহোল্ড আছে, যাদের টার্নওভার ৫০ লাখ টাকার ওপরে, তাদের ক্ষেত্রে এটা আসবে। অন্য কোনো ব্যবসা তো এটার মধ্যে আসছে না।

বিমান ভাড়ার ক্ষেত্রে কী ভ্যাট বাড়ছে— এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, বিমানের ভাড়ার ক্ষেত্রে আগে ৫০০ টাকা ছিল সেটি এখন ২০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বিমানে এখন লোকজন মোটামুটি চড়ে। তারা ২০০ টাকা বেশি দিতে পারবে না বলে মনে হয় না। এগুলো মার্জিনাল। পৃথিবীর যে কোনো দেশ যেমন নেপাল-ভুটান ধরেন, এত লো ট্যাক্স কোথাও নেই। সব জিনিসের দাম ওপরে। এসেন্সিয়াল জিনিসের ক্ষেত্রে আমরা সবসময় বলেছি, সেখানে আমরা প্রায় জিরো করে নিয়ে আসব। চূড়ান্তভাবে ভোক্তা ১৫ শতাংশ ট্যাক্সও দিচ্ছে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পাঁচ মাস পরে এই সিদ্ধান্ত কেন নিচ্ছে— এ বিষয়ে সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এটা করার কারণটা হলো যে ছাড় দিয়েছি, সেটা হিসাব করে… কয়েক হাজার কোটি টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর আমাদের রাজস্ব গ্যাপ এত বেশি, আমি তো আর বড় করে ডেফিসিট ফাইন্যান্সিং করে এগোতে পারব না।

আইএমএফের পরামর্শে এটি করা হচ্ছে কি না— জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, না, সবদিক চিন্তা-ভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এমন সিদ্ধান্তে সাধারণ মানুষের কষ্ট হবে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, মনে হয় না কষ্ট হবে। জনগণের স্বস্তি না পাওয়ার তো কোনো কথা না।

সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইটি খাতে আমরা বরাদ্দ কমাব না বরং বৃদ্ধি করব। কিন্তু আমাদেরকে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে। ধার করে বেশিদিন চলা যায় না।

ট্যাক্স এবং কাস্টমস ক্ষেত্রেও কি রাজস্ব বাড়তে পারে— জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা এখন বলব না।

নতুন বছরে অর্থনীতিকে কোন জায়গায় নিয়ে যেতে চান— এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অর্থনীতি মোটামুটি স্ট্রং তো হয়েছে, এখন দরকার স্থিতিশীলতা। আমি বলব না, সব ক্ষেত্রে এটা হয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টরে কিছুটা শৃঙ্খলা ফিরেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চেষ্টা করছে, কিছু দুর্বল ব্যাংককে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে।

Categories: জাতীয়
Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings