X

অভয়ারণ্যে হিংস্র প্রাণী, ভারতকেই রুখতে হবে

বর্তমানে দেশের যে অস্থিরতা ও নৈরাজ্য চলছে, তার পেছনে রয়েছে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে পালিয়ে থাকা ফ্যাসিস্ট সরকারের নেতারা ও তাদের সমর্থকরা। বিশেষত কলকাতা এখন পলাতক অপরাধীদের জন্য এক নিরাপদ আশ্রয়স্থল, যেখানে তারা দেশের বিভিন্ন সন্ত্রাসী, ভাড়াটে কিলার, মাদক ব্যবসায়ী ও চরমপন্থি গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।বিগত ৫ আগস্টের পর ৪৫ হাজার শাসক দলের নেতাকর্মী ভারতে পালিয়ে গেছেন, তাদের বেশিরভাগই কলকাতায় অবস্থান করছে। তারা ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, সিগন্যালসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশের সন্ত্রাসীদের উস্কানি দিচ্ছে এবং অর্থ প্রদান করছে। এসব ফ্যাসিস্টরা মনে করছেন, বর্তমান সরকারের বিপর্যয়ের ফলে তারা পুনর্বাসনের সুযোগ পাবে।

ভারতে পলাতক অপরাধীরা দেশে অবস্থানরত চরমপন্থি গ্রুপগুলোর সাথে সহযোগিতা করে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করছে। এর পাশাপাশি, পার্বত্য অঞ্চলেও তাদের হাত রয়েছে। তাছাড়া, পুলিশ বাহিনীর পুরোপুরি সক্রিয় না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।অপরাধীদের ভারত ছাড়ার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষত ৫ আগস্টের পর দেশের সীমানা অতিক্রম করা এতজন অপরাধী কীভাবে সম্ভব হলো। অনেকেই পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় অর্থের বিনিময়ে সীমান্ত পার হয়েছেন।

এখন জরুরি হলো, ভারত সরকারকে অপরাধীদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে চাপ প্রয়োগ করা। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থানরত অপরাধীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে তাদের ফেরত পাঠানোর জন্য তাগাদা দেওয়া উচিত। এছাড়া, তাদের দ্বারা ব্যবহৃত ডিজিটাল চ্যানেলগুলো কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে এবং অর্থের লেনদেন চিহ্নিত করতে হবে।ষে, যতদিন এসব অপরাধী ফেরত না আসে এবং তাদের অপতৎপরতা বন্ধ না হয়, ততদিন দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়বে।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings