দর্শকনন্দিত অভিনেত্রী রুনা খান, যিনি তার অভিনয় ও মডেলিংয়ের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে তার শারীরিক গঠন ও ভিন্নধর্মী ফটোশুটের কারণে আলোচনায় রয়েছেন। একদিকে যেমন তিনি তার অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত, অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। সম্প্রতি, একটি ভাইরাল ভিডিও এবং সোশ্যাল মিডিয়ার নেগেটিভিটি নিয়ে তিনি তার বক্তব্য প্রকাশ করেছেন। রুনা খান তার পেশাগত অভিনয় জীবন শুরু করেছিলেন ২০০৫ সালে জনপ্রিয় শিশুতোষ ধারাবাহিক ১২৩ সিসিমপুর এর মাধ্যমে। এরপর ২০১৭ সালে তৌকীর আহমেদ পরিচালিত হালদা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বিশেষভাবে প্রশংসিত হন। চলচ্চিত্রে তার অভিনয় তাকে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার এনে দেয়। তার এই সাফল্য তাকে বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অঙ্গনে এক বিশেষ জায়গায় নিয়ে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ফটোশুট ও ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে আলোচনা বেড়ে যাওয়ায় রুনা খান অনেক সময় নেগেটিভিটির শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি, অভিনেতা সম্রাটের সঙ্গে একটি ভাইরাল ভিডিও নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়, যা নিয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার শুধু সেই বিষয়গুলোর দায়ভার আমার, যা আমি নিজে শেয়ার করি। ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম থেকে আমি যে ছবি বা খবর শেয়ার করছি, সেটুকুর দায় শুধু আমার। তবে, যদি কেউ আড়াল থেকে ভিডিও করে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে, তাহলে তার দায় আমি নিতে পারব না।”তিনি আরও বলেন, “এখনকার সময়ে, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের কোনো নীতিমালা নেই, যা কখন কী শেয়ার করা যাবে, সেটি নিয়ন্ত্রণ করবে। এ কারণে আমাদের জন্য একটু সমস্যার জায়গা তৈরি হয়েছে।” রুনা খানের এই বক্তব্য আমাদের সকলকে স্মরণ করিয়ে দেয় যে, একজন তারকার জীবন শুধু তার নিজস্ব কাজ ও প্রকাশিত কাজের মাধ্যমে চিহ্নিত হওয়া উচিত। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার অপ্রত্যাশিত প্রভাব ও নেগেটিভ মন্তব্যের ফলে ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি নজর রাখা কঠিন হয়ে পড়ে। তারকাদের উচিত, নিজেদের দায়িত্বশীলতা ও সুরক্ষায় সচেতন থাকা, যেন তারা নিন্দিত না হন এবং তাদের কাজের মাধ্যমে সমালোচনার মুখোমুখি না হতে হয়।