পত্রিকার পাতা
ঢাকাশুক্রবার , ২০শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উদ্যোক্তা
  5. কর্পোরেট
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  8. খেলাধুলা
  9. চাকরির খবর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. তারুণ্য
  13. ধর্ম
  14. পর্যটন
  15. প্রবাস
আজকের সর্বশেষ সব খবর

অল্প খরচে উচ্চশিক্ষা ও নাগরিকত্বের সুযোগ দিচ্ছে লিথুয়ানিয়া

Main Admin
মার্চ ১০, ২০২৫ ১০:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাল্টিক সাগরের পূর্ব উপকূলবর্তী লিথুয়ানিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ও সেনজেনভুক্ত বাল্টিক দেশ। শুধু এর সৌন্দর্য বিশ্ববাসীকে আকৃষ্ট করে না বরং উচ্চমানের শিক্ষাব্যবস্থা এই দেশকে সুপরিচিত করে তুলেছে বিশ্ববাসীর কাছে। যেহেতু দিন দিন উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার ভিসা পাওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাই লিথুয়ানিয়া হতে পারে আপনার উচ্চশিক্ষার জন্য নতুন গন্তব্য।
 
কেন যাবেন লিথুয়ানিয়া
জীবনযাত্রার ব্যয়ের চিন্তা থাকলে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় লিথুয়ানিয়া হবে সবচেয়ে ভালো পছন্দ। কেননা এখানে পড়াশোনার খরচ তুলনামূলক বেশ কম। এ দেশে রয়েছে অনেকগুলো সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আর ইউরোপের অন্যান্য দেশে যেমন স্নাতক প্রোগ্রামে পড়তে গেলে সে দেশের ভাষায় পড়া লাগে, সে তুলনায় লিথুয়ানিয়াতে ব্যাচেলর লেভেলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানো হয়ে থাকে, যা আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক উপকারী। এসব দিক বিবেচনায় লিথুয়ানিয়া হতে পারে আপনার উচ্চশিক্ষার গন্তব্য।
 
কোর্স খোঁজা ও বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন
বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের কাছে লিথুয়ানিয়া বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশটিতে আপনি মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্সসহ বিভিন্ন ধরনের কোর্স করার সুযোগ রয়েছে। এজন্য আপনাকে কষ্ট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটগুলো ঘেটে দেখতে হবে।
কোর্স খুঁজতে সাহায্য নিতে পারেন এই ওয়েবসাইটের- https://studyin.lt/study-programmes/
 
কেমন খরচ হবে লিথুনিয়া যেতে
বাংলাদেশ থেকে লিথুয়ানিয়া যাওয়ার খরচ ভিসা ক্যাটাগরি ও এজেন্সির ওপর নির্ভর করে ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন- স্টুডেন্ট ভিসা, ট্যুরিস্ট ভিসা ও কাজের ভিসা। শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে এই দেশে সবচেয়ে বেশি যায়। বর্তমান বাংলাদেশ থেকে লিথুয়ানিয়া যেতে প্রায় ৪ থেকে ১০ লাখ টাকা লাগে। এজেন্সির মাধ্যমে কাজের ভিসা নিয়ে যেতে বেশি টাকা লাগে। তবে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ও ভিজিট ভিসা নিয়ে যেতে ৪ থেকে ৬ লাখ টাকা লাগে। ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিজে নিজে ভিসা প্রসেসিং করে অল্প খরচে বাংলাদেশ থেকে এই দেশে যেতে পারেন। শিক্ষার্থীরা লিথুয়ানিয়ার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অফার লেটার পেলে সহজে ভিসা আবেদন করতে পারে। কাজের ভিসা পাওয়ার জন্য চাকরির অফার লেটার পেতে হয়।
 
প্রার্থীর বয়সের সময়সীমা
বাংলাদেশ থেকে কাজের ভিসা নিয়ে লিথুয়ানিয়া যেতে আবেদনকারীদের বয়স কমপক্ষে ২০ বছর হতে হয়। লিথুনিয়া স্টুডেন্ট ভিসা ও ভিজিট ভিসা আবেদনকারীদের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে। কাজের উদ্দেশ্যে এই দেশে যেতে আগ্রহীদের বয়স ২১-৩০ বছরের মধ্যে হলে ভিসা পাওয়ার রেশিও বেশি থাকে।
 
পড়াশোনার খরচের ধারণা
লিথুয়ানিয়ায় পড়াশোনার খরচ অনেক কম। বছরে সাধারণত ২৫০০ থেকে ৪৫০০ ইউরো দিতে হয় মাস্টার্স প্রোগ্রামে আর ব্যাচেলরে দিতে হয় ১৩০০-৪৫০০ ইউরো।
এ ছাড়া ভিসা পেতে হলে আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণ দিতে হয়। ব্যাংকে মোটামুটি ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা জমা দেখাতে হবে। যে স্পন্সর করবেন তার আয়ের উৎস দেখাতে হবে আর ব্যবসায়ী হলে ট্রেডিং লাইসেন্স দেখাতে হবে।
 
ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
লিথুয়ানিয়ার এম্বেসি বাংলাদেশে না থাকায় অবশ্যই আপনাকে দিল্লিতে যেতে হবে। এজন্য আপনাকে আগেভাগেই নিতে হবে অ্যাপয়েন্টমেন্ট। ভিসা আবেদন জমা নেওয়ার সময় আপনার একটি সাক্ষাৎকার নেওয়া হবে আপনার ইংরেজি দক্ষতা দেখার জন্য। এই ভিসা পেতে প্রায় ১৪ দিন সময় লাগে। আপনাকে সাধারণত এক বছর বা ছয় মাসের ভিসা দেওয়া হবে। পরে লিথুয়ানিয়া গিয়ে ভিসা শেষ হওয়ার চার মাস আগে টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিটের (TRP) জন্য অ্যাপ্লাই করতে হবে। এই টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিটের জন্য পোল্যান্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সত্যায়িত করতে হবে। টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট নেওয়ার সময় আপনাকে ব্যাংক স্টেটমেন্টও দেখাতে হবে আর এ সময় আপনার অ্যাকাউন্টসে কমপক্ষে ২৩০০ ইউরো দুই থেকে তিন সপ্তাহের জন্য থাকতে হবে।
এবার আসি মূল প্রসঙ্গে, ভিসার জন্য আপনাকে নিম্নোক্ত কাগজপত্র জমা দিতে হবে-
১। অ্যাপ্লিকেশন ফরম
২। পাসপোর্ট ও ফটোগ্রাফ (৩৫/৪৫)
৩। জন্মনিবন্ধন ও এনআইডি কার্ড
৪। সত্যায়িত ডকুমেন্টস, মার্কশিট ও সনদ
৫। অফার লেটার ও ভার্সিটি থেকে প্রাপ্ত অন্যান্য ডকুমেন্টস
৬। অ্যাকোমোডেশন সনদ
৭। ব্যাংক সলভেন্সি পেপার
৮। তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট
৯। পুলিশ ক্লিয়ারেন্স
১০। হেলথ ইনস্যুরেন্স
১১। IELTS স্কোরের কপি (ন্যূনতম আইইএলটিএস স্কোর ৬ দশমিক ৫ বা টোফেল স্কোর ৮১)
১২। অন-ওয়ে টিকিট
 
লিথুয়ানিয়ায় আবাসন ব্যবস্থা
প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে হোস্টেলের ব্যবস্থা। মনে রাখবেন ভিসা পাওয়ার পর কয়েক মাসের হোস্টেলের ফি জমা করে দিতে হবে। হোস্টেলের ফি সাধারণত মাসে ৪৫-২০০ ইউরো হয়ে থাকে।
 
মাসিক খরচ এবং পার্ট টাইম জব এর সুযোগ
লিথুয়ানিয়ায় খুব কম খরচেই আপনি থাকতে পারবেন। ভার্সিটির হোস্টেলে জায়গা পেলে আপনি ১৫০-৩০০ ইউরো খরচের মধ্যে সবকিছু মিটিয়ে ফেলতে পারবেন। এই দেশে আপনি সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারবেন। কিন্তু সামার ভ্যাকেশনে আপনি ফুল টাইম কাজ করতে পারবেন। এখানে কাজ পাওয়া একটু কঠিন- যদি এ দেশের ভাষা না জানা থাকে। মনে রাখবেন, এসব কাজ করে পড়াশোনার খরচ বহন করা প্রায় অসম্ভব।
 
কোর্স শেষে চাকরি ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ
লিথুয়ানিয়ায় সফলভাবে পড়াশোনা শেষে আপনি ছয় মাসের জব সার্চ ভিসা পাবেন। এ সময় জব পেয়ে গেলে আপনি দুই বছরের জন্য TRP (Temporary Resident Permit) পাবেন। এই দুই বছরের পর PRP (Permanent Resident Permit) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। লিথুয়ানিয়ায় ১০ বছর থাকার পর নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করা যায়।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।