রুটি আমাদের দৈনন্দিন খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাধারণ আটা দিয়ে তৈরি রুটি পুষ্টিকর হলেও কিছু উপাদান যোগ করলে এর পুষ্টিমান আরও বাড়ানো যায়। নিচে কয়েকটি সহজ উপায় দেওয়া হলো—
১. মাল্টিগ্রেইন আটা ব্যবহার করুন
সাধারণ গমের আটার পরিবর্তে মাল্টিগ্রেইন আটা ব্যবহার করুন। এতে ওটস, জোয়ার, বাজরা, রাগি, চিয়া সিড ইত্যাদি মিশ্রিত থাকে, যা রুটিকে আরও পুষ্টিকর করে তোলে।
২. সবজি মিশিয়ে রুটি তৈরি করুন
রুটির আটায় পালং শাক, গাজর, মেথি, লাউ বা অন্যান্য পুষ্টিকর সবজি কুচি করে মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে রুটির স্বাদ ও পুষ্টিমান বাড়বে।
৩. প্রোটিন বাড়াতে ডাল বা সোয়াবিন মেশান
রুটির আটার সঙ্গে সামান্য ভাজা ছোলা বা মসুর ডালের গুঁড়া মেশালে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়বে। এছাড়া সোয়াবিনের গুঁড়া মিশিয়ে নিলে এটি আরও পুষ্টিকর হয়ে উঠবে।
৪. বীজ ও বাদাম যুক্ত করুন
রুটির আটার সঙ্গে তিল, সূর্যমুখীর বীজ, চিয়া সিড বা বাদামের গুঁড়া মিশিয়ে নিলে এটি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ হবে।
৫. দই বা দুধ মিশিয়ে রুটি বানান
পানি ব্যবহারের পরিবর্তে দই বা দুধ দিয়ে রুটি গুঁড়লে এতে ক্যালসিয়াম ও প্রোটিনের মাত্রা বাড়বে।
৬. অলিভ অয়েল বা ঘি ব্যবহার করুন
রুটির খামির মাখানোর সময় সামান্য অলিভ অয়েল বা ঘি মিশিয়ে নিলে এটি স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের ভালো উৎস হবে এবং স্বাদও বাড়বে।
৭. ফাইবার যুক্ত করতে ব্রান ব্যবহার করুন
গমের ভুসি বা ওট ব্রান মিশিয়ে রুটি তৈরি করলে ফাইবারের পরিমাণ বাড়বে, যা হজমে সহায়তা করে এবং পেট ভরা রাখে।
এই সহজ উপায়গুলো অনুসরণ করলে আপনার রুটি আরও বেশি পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যকর হবে, যা শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে।