X

আদর্শ ক্রিকেটার ও বল টেম্পারিং নিয়ে মুখ খুললেন আফ্রিদি

পাকিস্তানের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। পেশাদার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অনেক মজার স্মৃতি যেমন তাকে ঘিরে জন্ম হয়েছিল, তেমনি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার নজিরও রয়েছে। যার একটি– দাঁত দিয়ে কামড়ে বল টেম্পারিং। এ ছাড়া যাকে আদর্শ মেনে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, সেসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন শহীদ আফ্রিদি।

পাকিস্তানের আর্টস কাউন্সিলে এক উর্দু সম্মেলনে নিজের ক্রিকেট ক্যারিয়ার না বিষয়ে মুখ খুলেন সাবেক এই তারকা অলরাউন্ডার। ২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার ওয়াকায় (পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার মাঠ) ওয়ানডে ম্যাচে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ ওঠে আফ্রিদির বিপক্ষে। দাঁত দিয়ে কামড়ে বল বিকৃতির চেষ্টার কারণে তাকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধও করা হয়। সে প্রসঙ্গে আফ্রিদির ভাষ্য, ‘আমার বল টেম্পারিং কিংবা পিচ বিকৃতির মতো কিছু করা উচিৎ ছিল না। তবে ওই মুহূর্তে জয়ের জন্য আমি সেটি করে ফেলি।’

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ২০২৫ আসরের আয়োজক পাকিস্তান। কিন্তু দেশটিতে গিয়ে খেলতে ভারতের অনিচ্ছার কারণে টুর্নামেন্টটি নিয়ে নাটকীয়তা চলছে অনেকদিন ধরে। শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্ট গড়াতে পারে হাইব্রিড মডেলে। পিসিবিও সেই মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজনে পাল্টা শর্ত দিয়েছে। সেটিকে সমর্থন জানিয়ে আফ্রিদি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে পিসিবির বর্তমান অবস্থান খুব সুন্দর। ভারত না আসলে, আমরাও তাদের দেশে খেলতে যাব না। নিজের পায়ে শক্তভাবে দাঁড়ানো গুরুত্বপূর্ণ, তাহলে কঠিন অবস্থানে যাওয়া যায়।’

সাধারণত আইসিসির কাছে ভারতের কিছুটা আনুকূল্য পাওয়ার পেছনে তাদের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রিকেটীয় বাজার ভূমিকা রাখে। তবে আফ্রিদির দাবি যেন এক্ষেত্রে অর্থের চেয়ে ক্রিকেটকেই বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়, ‘আইসিসির উচিৎ নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যে, তারা ক্রিকেটকে প্রোমোট করবে নাকি টাকায় মনোযোগ দেবে।’

১৯৯৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের জার্সিতে সবমিলিয়ে ৪২৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন আফ্রিদি। তিনি লেগস্পিন অলরাউন্ডার হলেও, ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করেছেন বিশ্বকাপজয়ী পাক অধিনায়ক ইমরান খানকে দেখে। সাবেক এই পাক প্রধানমন্ত্রীকে আদর্শ মানেন বলেও জানান আফ্রিদি, ‘আমি ইমরান খানকে দেখে ক্রিকেট খেলা শুরু করি। যদি তিনি না থাকতেন, আমি হয়তো ক্রিকেটার হতাম না।’

এ ছাড়া সাবেক এই পাকিস্তানি অধিনায়ক কথা বলেছেন বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও জামাতা শাহিন শাহ আফ্রিদির অধিনায়কত্ব নিয়ে। প্রশংসা করেছেন সাইম আইয়ুব ও আমির জামালদের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের। আফ্রিদি বলেন, ‘আমি শাহিনের অধিনায়কত্ব করার পক্ষে ছিলাম না। কারণ দায়িত্ব নেওয়ার মতো ম্যাচুরিটি তৈরি হতে তার আরও সময় নেওয়া দরকার ছিল। বাবরের পর রিজওয়ানই অধিনায়কত্বের জন্য সেরা পছন্দ।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের তিন ফরম্যাটের জন্য শীর্ষ পারফর্মার হতে পারে সাইম আইয়ুব। আব্দুল রাজ্জাক যেভাবে দীর্ঘ সময় পাকিস্তানকে সেবা দিয়েছে, একইভাবে পারফর্ম করার সামর্থ্য রয়েছে আমির জামালের।’ পাকিস্তানের সাধারণ দর্শকদের প্রতি আফ্রিদির আহবান, ‘মানুষ তাদের ইচ্ছেমতো বর্তমানে ক্রিকেট দলকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে মন্তব্য করে। সমালোচনা করুন, কিন্তু আপনার শব্দের ব্যবহার যেন বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে হয়।’

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings