X

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের রক্তাক্ত একদিন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের অসহযোগ আন্দোলনে সারা দেশ এখন উত্তাল। রোববার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এই সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সারা বাংলাদেশে নিহত হয়েছেন অন্তত ৯৯ জন। গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন বহু মানুষ। বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম এই রক্তাক্ত দিন নিয়ে খবর হচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা, ভারতের এএনআই ও দ্য টেলিগ্রাফ, তুরস্কের টিআরটি নিউজ, ভয়েস অব আমেরিকা, সিএনএন ছাড়াও অসংখ্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরের শিরোনাম এখন বাংলাদেশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তো বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইনে লাইভ কাভারেজ করছে।

তুরস্কের টিআরটি নিউজ ‘বাংলাদেশে সহিংসতায় বহু মানুষ নিহত, ছাত্ররা হাসিনার পদত্যাগ চেয়েছেন’ শিরোনামে নিউজ করেছে। যেখানে তারা ৯৩ জন নিহতের কথা জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে শিরোনাম করেছে— ‘বাংলাদেশে নতুন করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে প্রায় ১০০ জন নিহত, আরও কয়েকশ আহত হয়েছেন’। তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে। ফের কারফিউ জোরদার করে কিভাবে আন্দোলনকারীদের দমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে তা বলা হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম শুরু থেকেই বাংলাদেশের আন্দোলন ও সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। বাংলাদেশের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে তাদের করা প্রতিবেদনের শিরোনাম— ‘বাংলাদেশের বিক্ষোভকারীরা হাসিনার পদত্যাগ দাবি করায় অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন’। আলজাজিরার খবরে বাংলাদেশের ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে কীভাবে আন্দোলনকারীদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করছে সরকার তা তুলে ধরা হয়েছে।

ভারতের সংবাদমাধ্যম এএনআই তাদের শিরোনামে বলছে— ‘বাংলাদেশ: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালন করছে’। এদিকে ভারতের অন্যতম গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ তাদের প্রতিবেদনের শিরোনামে লিখেছে— ‘বাংলাদেশে আবার অগ্ন্যুৎপাত, ৯১ জনের মৃত্যু: মার্চের আগে হাসিনার বাসভবনের ‘অভূতপূর্ব’ দুর্গ’।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের লাইভ প্রতিবেদনের শিরোনাম রেখেছে— ‘বাংলাদেশে সহিংসতার ভয়াল একদিন, সংঘর্ষে নিহত অন্তত ৯০ জন’। লাইভ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি কেন এই আন্দোলন এমন রক্তক্ষয়ী সংঘাতে রূপ নিল। সবশেষ তিনটি নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির অংশগ্রহণ করা না সত্ত্বেও কীভাবে ক্ষমতায় টিকে আছে, সেসব নিয়ে বিস্তারিত লিখেছে তারা।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings