X

আয়কর দিবস আজ, উদযাপনে নেই কোনো আনুষ্ঠানিকতা

জনগণকে কর দিতে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস উদযাপন করে আসছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ (শনিবার) সেই তারিখ হলেও জাতীয় আয়কর দিবস উদযাপিত হচ্ছে না। যদিও অফিসিয়ালভাবে ওই দিবস বাতিল বা পরিবর্তন করা হয়নি।

তবে এবারে ভিন্ন কোনো দিনকে জাতীয় আয়কর দিবস ঘোষণা দেওয়ার কথা জানিয়েছিল এনবিআর, সেটাও নির্ধারণ করা হয়নি। ফলে আয়কর দিবস নিয়ে কর অফিস কিংবা সাধারণ জনগণ অন্ধকারেই আছেন।

আজকের আয়কর দিবস দিয়ে জানতে চাইলে এনবিআর পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মু’মেন বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আমার জানা নেই। অফিসালভাবে আমাদের কাছে কোনো নির্দেশনা নেই।

অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের কর বিভাগের এক কর্মকর্তা পোস্টকে বলেন, ৩০ নভেম্বর এতোদিন আয়কর হিসেবে উদযাপিত হলেও এ বছর থেকে আর পালিত হচ্ছে না। বিগত সরকারের সময়ের অনেক জাতীয় দিবস যেমন পরিবর্তন করা হচ্ছে, এক্ষেত্রেও পরিবর্তন হচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে নতুন আয়কর দিবস ঘোষণা করা হবে।

এর আগে ৪ নভেম্বর এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিনকে আয়কর দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। তবে ওই দিন কর অফিসগুলো যথেষ্ট ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। সে কারণে আমরা ভাবছি ভিন্ন কোনো দিন জাতীয়ভাবে আয়কর দিবস হলে উদযাপন ও উৎসবের আমেজ বৃদ্ধি পাবে।

২০১৬ সাল থেকে ৩০ নভেম্বরকে আয়কর দিবস হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে, এর আগে ১৫ সেপ্টেম্বর আয়কর দিবস উদযাপিত হতো। অর্থাৎ গত ১৬ বছর থেকে রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন জাতীয় আয়কর দিবস উদযাপিত আসছে। ২০০৮ সাল থেকে প্রথম আয়কর দিবস পালন করা হয়। ওই বছর থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর আয়কর দিবস হিসেবে উদযাপিত হতো।

এরপর রিটার্ন দাখিলের সময় বৃদ্ধি করার সঙ্গে সঙ্গে ২০১৬ সাল থেকে ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস পালন করছে এনবিআর। এদিন ব্যক্তি শ্রেণির আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা দেওয়ারও শেষ দিন। যদিও চলতি বছরে এরই রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বৃদ্ধি করে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে।

আয়কর নির্দেশিকা ২০২৩-২৪ অনুযায়ী ৪৪ ধরনের সেবায় রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ দেখানো বাধ্যতামূলক করে এনবিআর। যে কারণে রিটার্ন দাখিলের বিকল্প নেই ই-টিআইএন ধারীদের। তা না হলে পড়তে হবে নানা জটিলতায়।

দেশে বর্তমানে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) করদাতা রয়েছেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৪৪ লাখ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেন, যার মধ্যে মাত্র ৫ লাখ রিটার্ন অনলাইনে জমা দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৫ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন বলে জানা গেছে।

সাধারণত কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে চার লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে পাঁচ লাখ টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী করদাতার আয় সাড়ে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।

এ ছাড়া আরও অনেক কারণে ব্যক্তিকে আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হয়। শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই হবে না, বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রও দেখাতে হবে।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings