পত্রিকার পাতা
ঢাকাসোমবার , ৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উদ্যোক্তা
  5. কর্পোরেট
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  8. খেলাধুলা
  9. চাকরির খবর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. তারুণ্য
  13. ধর্ম
  14. পর্যটন
  15. প্রবাস
আজকের সর্বশেষ সব খবর

ইতিহাসে প্রথমবার কোনো ব্যক্তির সম্পদ ৫০০ বিলিয়ন

Md Abu Bakar Siddique
অক্টোবর ৫, ২০২৫ ১:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

প্রযুক্তি জগতের স্বপ্নদ্রষ্টা উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক আবারও গড়লেন ইতিহাস। বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা, মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে তাঁর অবিশ্বাস্য সাফল্যের কারণে এবার সম্পদের পরিমাণ ছুঁয়েছে ৫০০ বিলিয়ন ডলার—যা মানব ইতিহাসে প্রথম।মার্কিন ম্যাগাজিন ফোর্বস জানিয়েছে বিলিয়নিয়ার ইনডেক্সে মাস্কের মোট সম্পদ ৫০০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সময় বিকেল ৫টায় তা দাঁড়ায় ৪৯৯ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে। গত বছর প্রথমবারের মতো তাঁর সম্পদ ৪০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল।টেসলার ১২ শতাংশ শেয়ার মাস্কের মোট সম্পদের বড় ভিত্তি। বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে টেসলার শেয়ার চলতি বছরে প্রায় ১৪ শতাংশ বেড়েছে, যদিও বছরের শুরুতে কিছুটা অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল। গত মাসে মাস্ক প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের টেসলা শেয়ার কেনার ঘোষণা দেন, যা কোম্পানির ভবিষ্যৎ রূপান্তর পরিকল্পনায় তাঁর আস্থার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।বর্তমানে টেসলা শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা নয়, বরং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও রোবোটিকস প্রযুক্তি-নির্ভর একটি কোম্পানিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। সম্প্রতি টেসলার বোর্ড মাস্কের জন্য এক ট্রিলিয়ন ডলারের মালিক হওয়ার পরিকল্পনা প্রস্তাব করেছে, যা করপোরেট ইতিহাসে কোনো নির্বাহীর জন্য সবচেয়ে বড় বেতন প্যাকেজ হিসেবে বিবেচিত। এতে উচ্চাভিলাষী আর্থিক ও কার্যকরী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সঙ্গে মাস্কের শেয়ার অংশীদারত্ব বৃদ্ধির প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।প্রস্তাব ঘোষণার পর থেকে টেসলার শেয়ারমূল্য বেড়েছে প্রায় ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই প্রণোদনা মাস্ককে কোম্পানির প্রবৃদ্ধিতে আরও মনোযোগী হতে উৎসাহিত করবে।

অটোমোবাইল থেকে মহাকাশ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

বিগত বছরগুলোতে ইলন মাস্কের বহুমুখী উদ্যোগ তাঁকে আধুনিক প্রযুক্তি খাতে এক অনন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্যাটেলাইট যোগাযোগ থেকে শুরু করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পর্যন্ত—প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর পদচিহ্ন সুস্পষ্ট।এক্সএআই (xAI) ও স্পেসএক্স—এই দুটি প্রতিষ্ঠানই এ বছর নতুন মূলধন সংগ্রহের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সম্ভাব্য বাজারমূল্য হিসেবে এক্সএআই-এর মূল্য ধরা হচ্ছে ২০০ বিলিয়ন ডলার, আর স্পেসএক্সের ৪০০ বিলিয়ন ডলার।এক্সএআই সম্প্রতি ‘কলোসাস’ নামের একটি সুপার কম্পিউটার উন্নয়নে কাজ করছে, যা বৃহৎ ভাষা মডেল প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হবে। এর ‘গ্রোক’ (Grok) নামের চ্যাটবট ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি ও গুগলের জেমিনির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়।অন্যদিকে, স্পেসএক্স এখন বাণিজ্যিক মহাকাশ খাতে প্রায় একচ্ছত্র আধিপত্য ধরে রেখেছে। তাদের স্টারলিঙ্ক স্যাটেলাইট নেটওয়ার্ক বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড়, যা যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ মহাকাশ উৎক্ষেপণ চুক্তি পরিচালনা করছে। সংস্থাটি নিয়মিতভাবে সর্বাধিক রকেট উৎক্ষেপণ করে, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সরবরাহ পাঠায় এবং প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলোর স্যাটেলাইট বহন করে।

ফোর্বসের তালিকায় মাস্কের পরেই রয়েছেন ওরাকল প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন, যার মোট সম্পদ বর্তমানে ৩৫০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।