গত মে মাসে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং অতিরিক্ত যাত্রীর ওজন সামলাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই বিধ্বস্ত হয়েছিল রাইসির সেই হেলিকপ্টার।
এর আগে গত মে মাসে দেশটির সেনাবাহিনীর একটি প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুর্ঘটনার পেছনে কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ বা হামলার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি নিরাপত্তা সূত্র ফার্স নিউজকে জানিয়েছে, ‘রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় তদন্ত শেষ হয়েছে এবং এটি সম্পূর্ণ নিশ্চিত যে যা ঘটেছে তা নিছক একটি দুর্ঘটনা।’
দুর্ঘটনার দুটি কারণ শনাক্ত করা হয়েছে। একটি আবহাওয়া উপযুক্ত ছিল না এবং হেলিকপ্টারটিতে অন্তত দুজন যাত্রী ওজনের সক্ষমতার বাইরে ছিল। যার ফলে এটি একটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়।
গত ১৯ মে আজারবাইজান সীমান্তের কাছে পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন ইব্রাহিম রাইসি। সেদিন আজারবাইজানে একটি বাঁধ উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে প্রেসিডেন্ট রাইসি ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের উত্তর-পশ্চিমের পাহাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
ঘন কুয়াশার কারণে দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টার টানা অভিযান শেষে ২০ মে তাদের হেলিকপ্টারটির খোঁজ পায় উদ্ধার দল। এ হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ আরও কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হন।