X

ইরানে বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল

ইরানকে গত ১ অক্টোবরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিতে সেখানে বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েল। সোমবার ইসরায়েলের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল কান ১১-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির একজন সরকারি কর্মকর্তা।
সাক্ষাৎকারে ওই কর্মকর্তা বলেন, “ইরানে একটি বড় হামলার প্রস্তুতি ইসরায়েল নিচ্ছে। এছাড়া ইরানের যে কোনো সম্ভাব্য হামলা ঠেকানোর জন্য (ইসরায়েলের) প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে।”
গত ১ অক্টোবর রাতজুড়ে ইসরায়েলে প্রায় ২০০ ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরানের সেনাবাহিনী এলিট শাখা ইসলামি রেভোল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)। হামলার ২ দিন পর ৩ অক্টোবর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান কাতারে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় বলেন, ইসরায়েল যদি গাজা এবং লেবাননে সামরিক অভিযান বন্ধ না করে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা আরও ঘটবে।
ইরানের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মিত্রদের সঙ্গে নিজেদের সুরক্ষা ও মধ্যপ্রাচ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নিবিড় আলোচনা শুরু করে ইসরায়েল। এই আলোচনার ভিত্তিতেই গত শনিবার ইসরায়েলে নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা বিষয়ক সমরাস্ত্র থাড মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্রাগারের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং অভিজাত সমরাস্ত্রগুলোর মধ্যে থাড অন্যতম।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের তেলক্ষেত্র বা পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এদিকে তেহরানও হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে ইরানের ভূখণ্ডে হামলা ঘটলে তার ‘যন্ত্রণাদায়ক’ পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে ইসরায়েলকে।
মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ইরান এবং ইসরায়েল পরস্পরের প্রতি ব্যাপকমাত্রায় বৈরীভাবাপন্ন। হিজবুল্লাহ, হামাস, হুথি, প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামিক জিহাদসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীকে গত চার দশক ধরে নিয়মিত আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে ইরান। এসব গোষ্ঠীর প্রধান এবং একমাত্র লক্ষ্য ইসরায়েলকে নির্মূল করা।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings