X

ইসরায়েলিকে হত্যায় অভিযুক্তদের ধরিয়ে দিল তুরস্ক

সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক ইসরায়েলিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে ধরিয়ে দিয়েছে তুরস্ক। গত সপ্তাহে আরব আমিরাতে কোগান নামের এক ইহুদি ধর্মগুরুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে জানা যায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

আরব আমিরাতের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে উজবেকিস্তানের তিন নাগরিক জড়িত আছেন বলে তারা সন্দেহ করছেন। হত্যাকাণ্ডের পর তারা আমিরাত থেকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চলে যান। সেখান থেকেই তাদের গ্রেপ্তার করে তুরস্ক আরব আমিরাতের হাতে তুলে দিয়েছে বলে বুধবার (২৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম দ্য নিউ আরব।

আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বলেছে, “ইসরায়েলি ইহুদি ধর্মগুরু ও সাবেক সেনাকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে আমাদের সহায়তা করেছে তুরস্ক। অপরাধীদের ধরতে সহায়তা করায় তুরস্ককে ধন্যবাদ।” হত্যাকাণ্ডে উজবেকিস্তানের নাগরিকদের জড়িত থাকার ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু আর জানায়নি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

গ্রেপ্তার তিনজন যে বিমানে করে তুরস্কে গিয়েছিলেন সেটি খুঁজে বের করেন দেশটির গোয়েন্দারা। এরপর বিমানবন্দর ছাড়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের গ্রেপ্তারে সহায়তায় তুরস্ককে অনুরোধ জানিয়েছিল আরব আমিরাত। গ্রেপ্তারের পর তাদের আমিরাতের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ইসরায়েলি নাগরিক কোগান আরব আমিরাতে ইহুদি ধর্ম প্রচারের কাজ করতেন। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরেই দেশটিতে ছিলেন। ইসরায়েলের দাবি তিনি ‘ইহুদি’ হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ইহুদিবিদ্বেষ’ হিসেবেও অভিহিত করেছে তারা।

২০২০ সালে বিতর্কিত আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে আরব আমিরাত। এরপরই দেশটিতে ইসরায়েলিদের যাতায়াত ও অবস্থান শুরু হয়। ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের এই সম্পর্ক গড়াকে ‘বেঈমানি’ হিসেবে দেখেন ফিলিস্তিনিরা। কারণ আগে এসব দেশ বলত স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠন না হওয়া পর্যন্ত তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কখনো সম্পর্ক গড়বে না।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings