X

ঈদে হল খোলা রাখার দাবিতে রাবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান, প্রশাসনের বাধা

ঈদের ছুটিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আবাসিক হল খোলা রাখার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে প্রশাসন। এতে ভিডিও ধারণকালে সাংবাদিককেও বাধা দেওয়া হয়েছে। দাবি না মানলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, তাদের আন্দোলনে বাধা দেওয়া হয়নি। তারা যখন হঠাৎ প্রশাসন ভবনে তালা দিচ্ছিল তখন সেটা দিতে নিষেধ করা হয়েছে। তখন কিছু উচ্চবাচ্য হয়েছে। সাংবাদিককে চিনতে না পারায় ভিডিও করতে নিষেধ করেছি। পরে বুঝতে পেরে আর বাধা দেইনি।

জানা গেছে, ইদ উপলক্ষে ২৭ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে গত তিনদিন ধরে আন্দোলন করছেন কিছু শিক্ষার্থী। অবিলম্বে হল খোলা রাখার দাবি জানান তারা। পূর্ব ঘোষণা অনুসারে সকাল ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে কাঁথা-কম্বল নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তারা। দুপুরে প্রশাসনিক কার্যক্রমের জন্য উপাচার্য ভবনে প্রবেশ করেন। তখন আন্দোলনকারীরা ভবনের গেটে তালা দিলে প্রক্টরিয়াল বডি ও রেজিস্ট্রার বাধা দেন। এসময় উভয়ের মধ্যে উচ্চবাচ্য হয়। ভিডিও ধারণকালে এক সাংবাদিককে বাধা দেন প্রক্টর।

হল খোলার ব্যাপারে প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক বায়তুল মোকাদ্দেছুর বরহমান জানান, হল সিলগালা করা হয়েছে। কোন শিক্ষার্থী আর হলে নেই।

শাখা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, সকাল থেকে আমরা অবস্থান কর্মসূচি করছি সেটা দেখেও উপাচার্য আমাদের ডিঙ্গিয়ে ভবনে প্রবেশ করলেন। কোন কথাই বললেন না। ফলে দুপুরে আমরা ভবনে তালা দেই। তখন প্রক্টরিয়াল বডিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা আমাদের বাধা দেয়। উচ্চবাচ্য করেন এবং মামলা দেওয়ার হুমকি দেন। এতেই বুঝা যায়, সামনের দিনে তারা স্বৈরাচার হয়ে উঠবে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

আন্দোলনকারী বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আমীর আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলিফ বলেন, হল বন্ধের নোটিশ প্রত্যাহার না করলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। এখনও আমরা কোনো আশ্বাস পাইনি। প্রশাসন নাকি শিক্ষার্থীদের ব্যাপারে খুবই চিন্তিত; আমরাতো চাই হল খোলা রেখে আমাদের সমস্যার সমাধান করা হোক। কিন্তু তা না করে নোটিশ দিয়ে জোর করে বের করে দিচ্ছে।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব জানান, প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুসারে হল বন্ধই থাকবে। তবে যাদের বিশেষ সমস্যা, তারা সেটা প্রাধ্যক্ষ পরিষদকে জানাবে। তারা সেই শিক্ষার্থীদের জন্য যাতে বিশেষ ব্যবস্থা করবে। এটা নিয়ে নতুন ইস্যু তৈরির কিছু নেই।

Md Abu Bakar Siddique:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings