X

উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় শীতের বার্তা

বিন্দু বিন্দু কুয়াশার ফোটা জানান দিচ্ছে শীতের বার্তা। উত্তরের জেলা গাইবান্ধায় এখন শীতের আমেজ। তবে, শীতের বার্তা জনজীবনে স্বস্তি দিলেও নদী ও চরাঞ্চলের ছিন্নমূল মানুষের জন্য অনেকটাই কষ্টকর হয়ে উঠছে। এদিকে জেলার দোকানপাটে ন্যাপ তোষক আর মোটা কাপড়ের বেচা কেনার ভীরও বেশ বেড়েছে। চলতি মৌসুমে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির আগাম বার্তায় অসহায়দের জন্য সরকারের পাশাপাশি দাতা সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার দাবী করছেন মানবিক উন্নয়ন সংগঠনের পক্ষ থেকে।

দিনের বেলায় সুর্যের উঁকি-ঝুঁকিতে তাপমাত্রা উঠানামা করলেও বেলা গড়ার সাথে-সাথে ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাসে তাপমাত্রা কমে কমে যাচ্ছে। এতে করে সন্ধ্যা গড়ার সাথে সাথেই ঘরে ফিরতে হচ্ছে মানুষজনকে। শীতজনিত দুর্ভোগ দেখা দিচ্ছে দরিদ্র পরিবারের নারী, বয়স্ক ও শিশুদের। ফুলছড়ির দেলুয়াবাড়ি চরের প্রবীন আব্দুল মজিদ মোল্লা জানান, শীত নিবারনে মোটাকাপড় না থাকায় কষ্ট হয়। এই গ্রামের বয়স্ক নারী নাজমা বেগম বলেন থাকার ঘরটি দিয়ে রাতে ঠান্ডা বাতাস আসে, একারনে শীতের কষ্ট পোঁহাতে হয়।

শীতে কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। শ্রমজীবীদের বেলা না ওঠা পর্যন্ত কাজ-কর্মে যেতেও পারছেন না। আর এর প্রভাব পড়ছে আয়-উপার্জনের উপর। সাঘাটার গুয়াবাড়ি চরে কৃষি শ্রমিক আব্দুল হান্নান শেখ বলেন ঠান্ডার কারণে কাজে যেতে বিলম্ব হয়-এজন্য আয়-রোজগারও কম হচ্ছে।

তবে, এবছর তীব্র শৈত্য প্রবাহের আশংকা করছেন এই অঞ্চলের মানুষজন। যার কারণে পুরোপুরি শীত নামার আগেই সাধ্য ও সামর্থ্য অনুযাযী জামা কাপড় ক্রয় করছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। গাইবান্ধা শহরের পুরাতন জামা কাপড় কিনতে আসা তাহের মিয়া বলেন, মোটা কাপড় ছাড়া শীত পার করা কঠিন এজন্য কমদানে পুরাতন কাপ কিনতে এসেছি।


গত বছর শীতের কাপড় তেমন বেঁচাকেনা না হলেও চলতি বছরের নভেম্বর মাস থেকেই বেশ ভালো বেচা কেনা হচ্ছে এবং দামও সাধ্যের মধ্যে বলে জানান বিক্রেতারা। পুরাতন কাপড় বিক্রেতা বাদল মিয়া বলেন চলতি মৌসুমে বেশ ভালোই বিক্রি হচ্ছে শীতের জামা কাপড়।

এদিকে, শীতার্ত মানুষের পাশে সরকারের পাশাপাশি দাতা সংস্থা ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা গণ উন্নয়ন কেন্দ্র (জিইউকে) এর পরিচালক আবু সায়েম মো. জান্নাতুন নুর রিশাত।
শীতের পূর্বাভাস অনুযায়ী চলতি মাসের শেষের দিক থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত কয়েক দফা শীতের প্রভাব থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। একারণে আগাম সহায়তা হিসেবে দরিদ্র শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিত্তশালীরা এগিয়ে আসবে এমনটাই প্রত্যাশা এই অঞ্চলের মানুষজনের।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings