পত্রিকার পাতা
ঢাকাশনিবার , ২১শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উদ্যোক্তা
  5. কর্পোরেট
  6. কৃষি ও প্রকৃতি
  7. ক্যাম্পাস-ক্যারিয়ার
  8. খেলাধুলা
  9. চাকরির খবর
  10. জাতীয়
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. তারুণ্য
  13. ধর্ম
  14. পর্যটন
  15. প্রবাস
আজকের সর্বশেষ সব খবর

এলএনজি আমদানিতে ভর্তুকি তিন গুণ হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক
মে ১৪, ২০২৫ ১১:৪১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

চলতি অর্থবছরে এলএনজি আমদানিতে সরকারের ভর্তুকি ব্যয় তিন গুণ বাড়তে পারে। জ্বালানি বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, এলএনজির বর্তমান আমদানি ব্যয়ে ১৭ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকার ঘাটতি তৈরি হবে। অথচ বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ছয় হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ফলে বাড়তি ব্যয় মেটাতে সরকারকে দিতে হবে অতিরিক্ত ১১ হাজার ১৭৭ কোটি টাকা।
গত অর্থবছরে (২০২৩-২৪) এলএনজি ভর্তুকিতে ব্যয় হয়েছিল ছয় হাজার ৩৫ কোটি টাকা। তার আগের দুই অর্থবছরেও এই অঙ্ক ছয় হাজার কোটি টাকার আশপাশে ছিল। কিন্তু ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আমদানি ব্যয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় ভর্তুকির পরিমাণ ১৯৩ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে।
এলএনজি আমদানিতে এই ব্যয়ের বড় কারণ হচ্ছে দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন হ্রাস এবং বাড়তি চাহিদা।
দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা তিন হাজার ৮০০ এমএমসিএফডি; কিন্তু সরবরাহ হচ্ছে গড়ে দুই হাজার ৭০৭ এমএমসিএফডি। দৈনিক ঘাটতি দাঁড়াচ্ছে প্রায় এক হাজার ১০০ এমএমসিএফডি, যা পূরণে সরকারকে নির্ভর করতে হচ্ছে আমদানি করা এলএনজির ওপর।
এ বছর ৯৮টি এলএনজি কার্গো আমদানি করা হবে, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৪ কোটি ৩২ লাখ ডলার বা প্রায় ৫৬ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২৩ টাকা ধরে)। এই গ্যাস বিক্রি করে আয় হবে প্রায় ৩৮ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা।
ফলে ঘাটতি দাঁড়াবে ১৭ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা।

গত বছরের চেয়ে এবার ব্যয় বাড়ছে দ্বিগুণ
অর্থ বিভাগের তথ্যে দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরে এলএনজি খাতে বরাদ্দ ছিল ছয় হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এরই মধ্যে বরাদ্দ ছাড়িয়ে ৫০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে। ফলে বছর শেষে অতিরিক্ত ভর্তুকির অঙ্ক গিয়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ১১ হাজার ১৭৭ কোটি টাকায়।

বর্তমানে সরকার প্রতি ঘনমিটার এলএনজি আমদানিতে ব্যয় করছে প্রায় ৬০ টাকা।
কিন্তু এই গ্যাস শিল্প খাতে ৩০ থেকে ৩১.৫০ টাকা, আবাসিকে ১৮ টাকা ও সিএনজি স্টেশনে ৪৩ টাকায় বিক্রি করছে। তাতে গড়ে প্রতি ঘনমিটারে লোকসান হচ্ছে সাত টাকা ৮ পয়সা। এ লোকসান পূরণে প্রতিবছর ভর্তুকি দেওয়া হয়।

উৎপাদন কম, আমদানির চাপ বেশি
২০২৫ সালের মার্চে দেশের গড় দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ছিল এক হাজার ৮৬২ এমএমসিএফডি। অথচ ২০২৩ ও ২০২৪ সালের মার্চে তা ছিল যথাক্রমে দুই হাজার ১৭৬ ও দুই হাজার ৪০ এমএমসিএফডি। উৎপাদন কমার কারণে আমদানির ওপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে।

অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়াতে সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভারের পরিকল্পনা নিয়েছে, যা সফল হলে জাতীয় গ্রিডে ৬৪৮ এমএমসিএফডি গ্যাস যুক্ত হতে পারে। ২০২৮ সালের মধ্যে আরো ১০০টি কূপ খনন করে ৯৮৫ এমএমসিএফডি গ্যাস যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া গ্যাস সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার কারিগরি ক্ষতি ৫০ শতাংশ কমানোরও পরিকল্পনা রয়েছে।

আন্তর্জাতিক বাজারের প্রভাব
দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আমদানি করা এলএনজির গড় মূল্য এখন প্রতি এমএমবিটিইউ ১০.৫০ ডলার। স্পট মার্কেট থেকে কিনলে তা বেড়ে প্রায় ১৪ ডলার হয়ে যাচ্ছে। ডলারের দরবৃদ্ধিও ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে।

অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম সহনীয় রাখতে সরকার এলএনজি আমদানির ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করেছে। ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আমদানির পরিমাণ আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, শিল্প, পরিবহন ও বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল রাখতে সরকার এলএনজি সরবরাহে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রতি সপ্তাহে অর্থ উপদেষ্টার নেতৃত্বে এলএনজি কেনাকাটা নিয়ে সরকারি কমিটির বৈঠক হয়। এসব সিদ্ধান্তের কারণে আগামী বছরগুলোতেও ভর্তুকির পরিমাণ বাড়তে পারে।
সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, দেশীয় গ্যাস উৎপাদন প্রতিনিয়ত কমছে। এ কারণে এলএনজি আমদানি বাড়াতে হচ্ছে। নতুন নতুন শিল্প হলেও সরকার গ্যাস সরবরাহ কমায়নি। এ ক্ষেত্রে বাড়তি গ্যাস আমদানির জন্য ১১ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে।

 

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।