বর্ষাকালের সহজলভ্য একটি সবজি কাঁকরোল। এই সবজিতে মাংসের চেয়ে বেশি প্রোটিন থাকে। এর রয়েছে অনেক উপকারিতাও। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁকরোল শুধু সুস্বাদু নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও একটি আশীর্বাদ।
সবুজ ও গাঢ় সবুজ রঙের এই সবজির বাইরের অংশে নরম কাঁটা থাকে। এটি প্রাচীন আয়ুর্বেদেও ঔষধি গুণাবলির জন্য বিখ্যাত। এটি দুই ধরনের স্বাদে পাওয়া যায়। আড় টা হল- মিষ্টি ও তেতো। তেতো কাঁকরোল আরো সুস্বাদু হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে সেগুলো কম পাওয়া যায়।
ক্যালসিয়াম, জিংক, তামা, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদিসহ প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে এই সবজিতে। ক্যালরি কম এবং ফাইবার বেশি থাকার কারণে এটি ওজন কমাতে সহায়ক। এটি হজম প্রক্রিয়াকে নিয়মিত রাখে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। কাঁকরোল অনেক রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসায় কার্যকর। এই সবজিকে আয়ুর্বেদে ঔষধি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বড় কাঁকরোল অনেক সমস্যার জন্য উপকারী। এটি মাথা ব্যথা, চুল পড়া, কানের ব্যথা কমায়।
এই সবজিতে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্ল্যাভোনয়েড প্রচুর পরিমাণে থাকে। হজম প্রক্রিয়া উন্নত করা, রক্তে চিনি নিয়ন্ত্রণ করে, তৃষ্ণা নিবারণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ইত্যাদি উপকারিতা রয়েছে এই সবজিতে। এটি পেটের সংক্রমণ, অর্শ, কৃমি ইত্যাদি সমস্যাও দূর করে।
কাঁকরোল কম গ্লাইসেমিক সূচক ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী। শরীরের তাপমাত্রা কমাতে কাঁকরোল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বুঝে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।
এই সবজি বৃষ্টি, ক্লান্তি, চুলকানি ইত্যাদির জন্য উপকারী। এটি পক্ষাঘাত, ফোলা, মাথা ঘোরা, চোখের সমস্যা, জ্বর, রক্তচাপ ইত্যাদি সমস্যার থেকেও রক্ষা করে। কাঁকরোল বাইরের অংশটি ছাড়িয়ে ভেজে খাওয়া হয়। এটি স্বাদ ও স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
প্রসঙ্গত, যেসব গর্ভবতী নারী ওষুধ গ্রহণ করেন তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এই সবজি খাওয়া উচিত।