X

কোটা সমাধান আদালতেই হতে হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

Hasan Mahmud, on the left, and Janez Lenarčič

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েই কোটা বাতিল করেছিল, হাইকোর্ট সেটি পুনর্বহাল করেছিল, সুপ্রিম কোর্ট স্থগিত করেছে। সুতরাং কোটা সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়টি যাঁরা বোঝেন না বা বুঝেও বুঝতে চান না বা যাঁদের বিএনপিসহ অন্যরা ইন্ধন দিচ্ছে, তাদের বলব, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করবেন না।’

শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহরে পৌর এডওয়ার্ড পার্কের শহীদ টিটু মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্‌যাপন ও বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের সংর্বধনা ও প্রয়াত ব্যক্তিদের মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানেই তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার বরং শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেছিল। বাতিলের পর কোটাহীনভাবে সরকারি ও অন্যান্য চাকরিতে নিয়োগ হচ্ছে। হাইকোর্ট রায় দিয়েছে কোটা পুনর্বহালের জন্য। সুপ্রিম কোর্ট সেটি স্থগিত করেছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন।

হাছান মাহমুদ বলেন, আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বা বিচারাধীন বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। তাহলে আদালত অবমাননা হবে। এসব বুঝেও যারা জনভোগান্তি ঘটাচ্ছেন, সেই ভোগান্তি যাতে না ঘটে, সে জন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর এবং আশা করব শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে একটি পরিবার উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পাঁচবার রাষ্ট্রক্ষমতায়। এর প্রথম কারণ হচ্ছে জননেত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে এ দলের কর্মীরা। কর্মীরাই এ দলের প্রাণ। শেখ হাসিনার ওপরে যখন বারবার হামলা হয়েছে, তখন কর্মীরাই মানববর্ম সৃষ্টি করে গ্রেনেড ও গুলি থেকে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করেছে। দলের দুঃসময়ে অনেক নেতাই দল ছেড়ে চলে গেছেন, বেসুরে কথা বলেছেন, কিন্তু কর্মীরা কখনোই শেখ হাসিনার সঙ্গে বা দলের সঙ্গে বেইমানি করেনি।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings