গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষকের কাছে চাঁদাদাবির অভিযোগে করা মামলায় এ.কে.এম শামসুল হক নামে এক সাংবাদিকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অপসাংবাদিকতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, চাঁদাবাজি ও হয়রানির অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
আজ (রবিবার, ১৯ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নের বিশ্বাস হলদিয়া গ্রামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ‘ধোপাডাঙ্গা ইউনিয়নবাসী’র ব্যানারে আয়োজিত এ মানববন্ধনে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেয়।
এ সময় এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, শামসুল হক বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয়ে এবং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি পরিচয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি এবং অপসাংবাদিকতা করে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছেন। তারা বলেন, সাংবাদিকরা সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু শামসুল হক অপসাংবাদিকতার মাধ্যমে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছেন।
এলাকাবাসী আরও জানান, শামসুল হকের এমন কর্মকাণ্ডে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নিজের মা’কে লাঞ্চিতের মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। প্রমাণ হিসেবে মানববন্ধনে মামলার কাগজ নিয়ে হাজির হন তারা। শামসুল হককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী ধোপাডাঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আবুল খায়ের মাহমুদ হাসান (রানা) বলেন, গতবছর সাংবাদিক পরিচয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ করার ভয় দেখিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে শামসুল হক। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় হুমকি দেন তিনি এবং ফেসবুকে ও নামধারী বিভিন্ন পোর্টালে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করেন। পরে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সুন্দরগঞ্জ আমলী আদালতে তার নামে মামলা করা হয়। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ কর্মসূচিতে এলাকাবাসীর পক্ষে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা আহসান হাবিব চান মিয়া, গৃহবধূ সুফিয়া কামাল, স্থানীয় মসজিদের ইমাম ও বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান প্রমুখ।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।