ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস বুধবার জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধ বন্ধ, ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং মানবিক ত্রাণ সহায়তার লক্ষ্যে মিসর ও কাতারের মধ্যস্থতায় যে নতুন প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, তা তারা পেয়েছে এবং বর্তমানে সেটি নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা চলছে।
এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, “আমরা অত্যন্ত দায়িত্বশীল মনোভাবে প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করছি এবং জাতীয় পর্যায়ে পরামর্শ চালাচ্ছি। এসব প্রস্তাবের মূল লক্ষ্য হলো আগ্রাসন বন্ধ করা, ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার নিশ্চিত করা এবং আমাদের গাজাবাসী জনগণের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।”
হামাসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “উভয় পক্ষের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করতে এবং একটি গ্রহণযোগ্য কাঠামোগত চুক্তি তৈরির লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, যা ভবিষ্যতে অর্থবহ আলোচনা ও সমঝোতার ভিত্তি তৈরি করবে।”
এদিকে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য প্রয়োজনীয় শর্তসমূহ মেনে নিতে সম্মত হয়েছে এবং এখন হামাসের উচিত এই প্রস্তাব গ্রহণ করা।
তবে আন্তর্জাতিক মহলের টানা যুদ্ধবিরতির আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা অব্যাহত রেখেছে। অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া এই রক্তক্ষয়ী অভিযানে এখন পর্যন্ত ৫৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াওভ গালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া, গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) একটি মামলা চলছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি