X

গাজীপুরে ৮ কারখানার উৎপাদন বন্ধ

গাজীপুরের ৮টি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া অধিকাংশ কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। আজ সকাল থেকে পোশাককর্মীদের কাজে যোগ দিতে দেখা গেছে। কারখানা নিরাপত্তা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে গাজীপুরের জিরানী বাজার এলাকায় আইরিশ গার্মেন্টসের শ্রমিকেরা তাঁদের কারখানায় ভাঙচুরের প্রতিবাদে আধা ঘণ্টা চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ওই কারখানার শ্রমিকদের অভিযোগ, গতকাল পাশের রেডিয়েন্স কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে নামেন। এসময় তাঁরা তাঁদের সঙ্গে আন্দোলনে নামতে আহ্বান জানান। কিন্তু আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায় তাঁদের আইরিশ গার্মেন্টসে ভাঙচুর চালান। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক অবরোধ করে রাখেন তাঁরা।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম বলেন, গাজীপুরের দুই হাজারের বেশি পোশাক কারখানার মধ্যে ৮টি পোশাক কারখানা বন্ধ রয়েছে। বন্ধ থাকা কারখানাগুলোর মধ্যে ৪টি কারখানা শ্রম আইন ১৩ (১) ধারা মোতাবেক বন্ধ রাখা হয়েছে। অপর ৪টি কারখানায় অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে বন্ধ রেখেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, শিল্প অধ্যুষিত গাজীপুরের বিভিন্ন শিল্প এলাকায় কারখানাগুলোতে চলছে উৎপাদন কার্যক্রম। সকাল ৮টার আগেই নারী-পুরুষ শ্রমিকেরা দলে দলে কাজে যোগ দিতে দেখা যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শিল্প এলাকায় কাজ করছেন শিল্প পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়া কারখানার নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মীরা মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে কাজ করছেন। শ্রমিকেরা তাঁদের নিজেদের আইডি কার্ড প্রদর্শন করে কারখানায় প্রবেশ করছেন। এখনও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বা শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে বুধবার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় নায়াগ্রা টেক্সটাইল কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে তিন ঘণ্টা বন্ধ ছিল ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। এ ছাড়া চৌধুরী বাড়ি এলাকায় চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলনের মুখে ১২টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings