সদ্য বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চট্টগ্রামে হওয়া নাশকতার দুটি মামলায় খালাস পেয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর ৪১ নেতা-কর্মী। প্রথম অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ কামাল হোসেন শিকদার নগরের পাঁচলাইশ ও চান্দগাঁও থানায় সাড়ে ছয় বছর আগে পুলিশের করা দুই মামলার রায় গত বৃহস্পতিবার দেন। আজ রোববার বিষয়টি জানাজানি হয়।
আদালতের সাঁটলিপিকার মো. আল আমিন আজ প্রথম আলোকে বলেন, মামলা দুটি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল বৃহস্পতিবার। আদালত দুই মামলার সব আসামিকে খালাস দেন।
খালাস পাওয়া অন্যরা হলেন মো. মঈনুদ্দীন, হাবিবুর রহমান, আহসানুজ্জামান, নুরুল হুদা, আনিসুর রহমান, নুরুল আবছার, মিজানুর রহমান, রাশেদুল আজম, মো. আলমগীর, মো. ফারুক, শেখ আবু জাফর, মো. সুমন, মো. আলমগীর, মো. শফি, রফিকুল ইসলাম, আবুল হাশেম, মো. সোহেল, মো. ফোরকান, আনিসুর রহমান ও আবদুল মান্নান। তাঁরা সবাই জামায়াতে ইসলামের কর্মী।
মামলা থেকে খালাস পাওয়ার কথা স্বীকার করে নগর জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান হেলালী প্রথম আলোকে বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানির জন্য মিথ্যা মামলাগুলো হয়েছে। এই কাজে আওয়ামী লীগ সরকার পুলিশকে ব্যবহার করেছে। অথচ পুলিশকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না করে অপরাধী গ্রেপ্তারসহ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিলে দেশের উপকার হতো।
নগরের চান্দগাঁও থানার আরেক মামলায় খালাস পান জামায়াতে ইসলামীর ২০ কর্মী। তাঁরা হলেন এসকান্দর আলম চৌধুরী, এরশাদুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার, নুরুল আলম, ওসমান গণি, ইমরান মক্কী, রাশেদ হোসাইন, মো. ইদ্রিস, সৈয়দ আরাফাত, মাহবুব মোর্শেদ, গিয়াস উদ্দিন, জামাল উদ্দিন, আরিফুর রহমান, সাহাব উদ্দিন, আতিকুল্লাহ, সাইফুল ইসলাম, ফারুকুল রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, হোসেন মুরাদ ও রফিকুল হাসান।
২০১৭ সালের ১২ অক্টোবর নগরের রাহাত্তারপুল এলাকায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ডাকা হরতাল কর্মসূচি পালনকালে আসামিরা নাশকতা করেন বলে অভিযোগে করে মামলাটি হয়। এটির বাদী চান্দগাঁও থানার তৎকালীন এসআই মো. ইয়াসিন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট আদালতে ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন এসআই আমির হোসেন।
আসামিদের আইনজীবী মোবারক শাহ প্রথম আলোকে বলেন, কোনো ঘটনা না ঘটলেও পুলিশ তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের নির্দেশে মামলা দিয়েছে। আদালতে খালাস পেয়ে আসামিরা ন্যায়বিচার পেয়েছেন।