মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ এবং ইউরোপে ন্যাটো দেশগুলির একটি শীর্ষ সম্মেলনের পটভূমিতে চীন বৃহস্পতিবার দেশটির সমুদ্রতীরবর্তী শহর কিংডাওতে ইরান ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছে। যেখানে সামরিক ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে একমত হয়েছে তারা।
বেইজিং দীর্ঘদিন ধরে ১০ সদস্যের সাংহাই সহযোগিতা সংস্থাকে (এসসিও) পশ্চিমা নেতৃত্বাধীন শক্তি ব্লকগুলির প্রতিপক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করে আসছে। রাজনীতি, নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং বিজ্ঞানে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার জন্য জোর দেয়া হচ্ছে।
সংগঠনের শীর্ষ প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের কিংডাও বৈঠকটি এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে ১২ দিনের দীর্ঘ লড়াইয়ের পর নতুন করে যুদ্ধবিরতি চলছে।
হেগে ন্যাটো নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনের পরের দিনও এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যেখানে সদস্যরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করার জন্য তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি করতে সম্মত হয়েছে।
মস্কোর সাথে বেইজিংয়ের সম্পর্কও আলোচনায়। ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধে চীন নিজেকে একটি নিরপেক্ষ দেশ হিসেবে চিত্রিত করেছে। যদিও পশ্চিমা সরকারগুলি বলে যে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মস্কোকে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ বৈঠকে তার প্রতিপক্ষদের উদ্দেশে বলেন, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে এমন এক বিষণ্ণ চিত্র তুলে ধরেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতি অনুসারে, বিশ্বের বর্তমান সামরিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও কঠিন এবং আরও অবনতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
ইসরায়েল, ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধের বিষয়টিও সম্ভবত কিংডাওতে আলোচনা করা হবে।
সেই সংঘাতের সময় বেইজিং তার ঘনিষ্ঠ অংশীদার তেহরানের প্রতি কূটনৈতিক সমর্থন ছাড়া আর কিছুই দেয়নি, যা এই অঞ্চলে তার সীমিত প্রভাব এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক খারাপ করতে অনিচ্ছাকে প্রতিফলিত করে।
সূত্র: এএফপি