চুয়াডাঙ্গায় কুয়াশা কেটে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। মাঘের হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বহে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। জেলার উপর দিয়ে বহে যাওয়া চলমান কুয়াশা কেটেছে। কুয়াশা সরে যাওয়াই জেকে বসেছে শীত। শীতের তীব্রতা অনেক বেড়ে যাওয়ায় তা হাড়ে গিয়ে ঠেকছে। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা হ্রাস পেয়েছে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রবিবার সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার ছিলো ১২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিকে মাঘের কনকনে শীত অপরদিকে ফুরফুরে শীতল বাতাসে মানুষ জবুথবু হয়ে পড়েছে। খুব প্রয়োজন ছাড়া সকালে ও সন্ধ্যায় কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। তবে আজ বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যর দেখা মিলেছে। সারাদিন রোয্য উজ্জ্বল পরিবেশ থাকলেও হিমেল বাতাসে শীত অনুভীত হয়েছে।
কনকনে শরীর কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। ফলে, দক্ষিণের সীমান্তবর্তি জেলার ৪ উপজেলার ১৩ মানুষের মধ্যে দুর্ভোগ নেমে এসেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মাসুদুর রহমান সরকার বলেন, এবারের শীত মৌসুমে ফসলের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে প্রচণ্ড কুয়াশা থেকে বীজ তলা রক্ষার জন্য বেড পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামীকাল তাপমাত্রা আরো কমে গিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।