X

চুয়াডাঙ্গায় প্রাথমিকে  ২৪৪ প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য

চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৪৪৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২৪৪জন প্রধান শিক্ষক নেই । এসব বিদ্যালয়ে কবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে, তা-ও বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়গুলোর প্রশাসনিক কাজকর্ম ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।  অবশ্য প্রধান শিক্ষক শূন্য পদে ২০১৮ সাল থেকে চলতি দায়িত্বে ৮০জন প্রধান শিক্ষকের দ্বায়িত্ব পালন করছেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৪৩টি। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ১২১টির মধ্যে ৬৭টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১৩৭টির মধ্যে ৬৮, দামুড়হুদায় ১১৪টির মধ্যে ৬৮ ও জীবননগর উপজেলায় ৭১টির মধ্যে ৪১টি প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নেই। প্রধান শিক্ষক শূন্য এ সব বিদ্যালয়ে ২০১৮ সালে পদোন্নতি যোগ্য সিনিয়র সহকারি শিক্ষক পদ হতে ৮০ জনকে চলতি দায়িত্বে দেন প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয়। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৩১টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২০, দামুড়হুদায় ১৮ ও জীবননগর উপজেলায় ১১টি । ২৪৪টি প্রধান শিক্ষকের শূন্য এসব বিদ্যালয় চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও একজন সহকারী শিক্ষককে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার পুষ্পকাণন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বশির আহাম্মেদ বলেন, বছরের পর বছর তিনি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। অফিসের কাজে বাইরে গেলে অন্য শিক্ষকদের ওপর চাপ পড়ে। এতে শিক্ষকরা যেমন সর্বোচ্চটা দিতে পারেন না, শিক্ষর্থীরাও সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

একই উপজেলার চলতি দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল আওয়াল বলেন, ২০১৮ সালে সহকারি শিক্ষক থেকে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে এক আদেশে প্রধান শিক্ষক(চলতি দায়িত্ব) পদে ফুলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করি। গেল ৬ বছর একই পদে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আবার আমার মত অনেকেই এই পদ থেকে অবসর গ্রহন করেছেন। আর কত বছর হলে চলতি দায়িত্ব থেকে প্রধান শিক্ষক হিসাবে পদোন্নতি পাবে ? এমন প্রশ্ন তার মতো আরও অনেকের।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অহিন্দ্র কুমার মন্ডল বলেন, সহকারী শিক্ষকদের মধে থেকে প্রমোশন দিয়ে ৬৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষক করা হবে। এ জন্য কাগজপত্র ঢাকায় মহাপরিচালকের দপ্তরে পাঠাতে বলা হয়েছে। তারপর যাচাই-বাছাইয়ের পর পিএসসিতে যাবে। তারপর নিয়োগ চূড়ান্ত হবে।

শিক্ষকদের একটি সুত্র জানান, পদোন্নতি বঞ্চিত একাধিক শিক্ষকের দায়ের করা মামলার কারণে দীর্ দিন ধরে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি হচ্ছে না। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ২০০৮ সালে সবর্শেষ পদোন্নতি পেয়েছেন শিক্ষকরা। এর পর ২০১৮ সালে একদফা চলতি দ্বায়িত্ব পান কিছু শিক্ষক । দীর্ ১৬ বছর পদোন্নতি হয়নি। তবে এ সময় অল্প কিছু সংখ্যাক প্রধান শিক্ষক ৩৫ শতাংশ(সরাসরি) পদে ও পিএসসি (ননক্যাডার) হতে নিয়োগ প্রাপ্ত হন।

সিনিয়র শিক্ষক সাজিস্তা জাবিন হতাশা নিয়ে বলেন,আর মাত্র দেড় বছর চাকুরি আছে। প্রায় প্রতি বছরই অফিস আমাদের পদোন্নতি দেবে বলে এসিআর নেন। কিন্তু পদোন্নতি দেখা মেলেনি। এসিআর দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেছি। এখন অবসরে যাওয়ার দিন গুনছি। আর প্রধান শিক্ষক হতে পারবো কিনা জানিনা।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings