চুয়াডাঙ্গায় এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার চলতি মৌসুমে জেলায় সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস । গতকাল বুধবার ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ কারনে শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। দিনে সূর্যের লুকোচুরি আর রাতে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে হিমেল হাওয়া। সকাল ১০টায় সুর্য্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা রয়ে গেছে। সৃষ্ট শৈত্যপ্রবাহ হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যপ্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। তারা খড় -খুটো জ্বেলে মানুষ শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন। বিকাল ৪টারপর চুয়াডাঙ্গার আকাশে গুমট পরিবেশ তৈরী হচ্ছে। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে পুরো জেলা। সন্ধ্যার আগেই তৈরী হচ্ছে অন্ধকার পরিবেশ। সময় যতই গড়াচ্ছে ততই যেন শীত প্রকোব ক্রমশ বাড়ছে। শীতের তীব্রতা এতটাই বেশী যে হাড়ে গিয়ে ঠেকছে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, গত ৪দিনে জেলার তাপমাত্রা ১০-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠা নামা করছে। ১২ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। এর আগে ১১ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াম। ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে । ৯ ডিসেম্বর একই সময় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তিনি আরও বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ঠান্ডা আরও বাড়তে পারে। কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রায় পারদও নামতে পারে।এদিকে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে সৃষ্ট হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যপ্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। কনকনে ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছে না খেটে খাওয়া মানুষ। শীতের প্রভাবে হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। যার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়লেও এখন পযন্ত সরকারি বা বেসরকারি ভাবে কোন শীতবস্ত বিতারণ করা হয়নি। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বলেন, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে বিতরণ করা হবে।