মোটা অংকের বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ৩৭ ব্যক্তিকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে নির্যাতন করার অভিযোগ করেছে পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে নির্যাতিতদের স্বজনরা বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে স্বজনরা লিবিয়ায় নিয়ে তাদের আপজনদের ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেন। এছাড়া সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের বিচার দাবী করেন তারা।
এ বিষয়ে ১১ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে রেজাউল হক মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে আলমডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে একই উপজেলার বেলগাছী গ্রামের জীম, জীবন, সাগর, জান্টু ও তার স্ত্রী আমেনা খাতুন, ঠান্টু ও তার স্ত্রী বেলগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের স্কুল শিক্ষিকা বেদেনা খাতুনকে। তবে এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা বলেন, এই সকল ব্যক্তিরা মোটা অংকের বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের স্বজনদের ইতালি পাঠানোর কথা বলে। তাদের কথা মতো টাকা টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু তারা আমাদের স্বজনদের ইতালি না নিয়ে লিবিয়ায় আটক রেখেছে। তাদের নির্যাতন করা হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা আমাদের সন্তানদের ভবিষৎতের কথা চিন্তা করে জায়গা জমি বিক্রয় করে টাকা দিয়েছি। তার পরও তারা ইতালিতে পাঠাচ্ছে না ।
তাদের সাথে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করা হচ্ছে এবং সেই নির্যাতনের ভিডিও মোবাইল ফোনে কল দিয়ে দেখানো হচ্ছে । আমরা চাই সকারের পক্ষ থেকে আমাদের স্বজনদের দ্রুত ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবে ।
এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদুর রহমান বলেন, আসামীরা পলাতক থাকায় আটক করা যায়নি। গ্রেফতারের প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।