X

চেন্নাইয়ে স্যামসাংয়ের ৬০০ কর্মী আটক

ট্রেড ইউনিয়নকে স্বীকৃতি, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি এবং কর্মস্থলের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন ইলেকট্রনিক পণ্য উৎপাদন খাতের আন্তর্জাতিক জায়ান্ট স্যামসাংয়ের ভারতীয় শাখা স্যামসাং ইন্ডিয়ার কর্মীরা। গতকাল মঙ্গলবার সেই আন্দোলন ৬০০ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।

গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে চেন্নাইয়ে স্যামসাংয়ের কারখানার বাইরে আন্দোলন শুরু করেছেন কয়েক হাজার কর্মী। কারখানার বাইরে ত্রিপল টাঙিয়ে দিন-রাত আন্দোলনে চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের দাবি মূলত তিনটি। প্রথমত, সেখানে স্থায়ী ইউনিয়ন তৈরি করতে দিতে হবে। দুই, আট ঘণ্টার শিফট তৈরি করতে হবে। অভিযোগ, এখন তাদের আট ঘণ্টার বেশি কাজ করতে হয়। এবং তিন, দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে।

আন্দোলনের নেতৃত্ব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে এই দাবিগুলি নিয়ে তারা ধর্মঘট শুরু করেছেন। এখনো পর্যন্ত দফায় দফায় তাদের বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে পুলিশ, তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। আটক করার পর তাদের ছেড়েও দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার ৬০০ কর্মীকে আটক করার কারণ, তারা রাস্তা আটকে প্রতিবাদ করছিলেন। এর ফলে সাধারণ মানুষের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছিল। এদিন যাদের আটক করা হয়, পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা স্যামসাংয়ের দুইটি বড় কারখানা আছে ভারতে। একটি চেন্নাইয়ে এবং অন্যটি দিল্লির কাছে গুরগাঁওয়ে। চেন্নাইয়ের কর্মীরা প্রতিবাদ শুরু করেছেন। তাদের অভিযোগ, মাসে তাদের গড় আয় ২৫ হাজার টাকা। তারা মাসে গড়ে ৩৬ হাজার টাকা দাবি করছেন।

স্যামসাং কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, চেন্নাইয়ের কর্মীরা এই অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোজগার করেন। ফলে এই মুহূর্তে তাদের বেতনবৃদ্ধির দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ কাজ কেড়ে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। তবে সংবাদমাধ্যমকে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তারা কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানের পথ খুঁজতে রাজি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার আলোচনার সম্ভবানা তৈরি হলেও শেষপর্যন্ত তা ভেস্তে যায়।

উল্লেখ্য, এই বছরের গোড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ায় স্যামসাংয়ের সদর দপ্তরেও ধর্মঘটে বসেছিলেন কর্মীরা। সেখানেও একাধিক দাবি ছিল তাদের।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings