বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ডাকা বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় একত্র হয়েছেন হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ বিচার হোক। শুধু ঢাকা নয়, যে কয় জায়গায় এ ধরনের ধ্বংস্ততাক কার্যকলাপ হয়েছে, সেগুলোর তদন্ত করে যথাযথ বিচার হবে। তিনি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিতে আরো দুইজন জজ নিয়োগ দিয়ে তাদের কর্মপরিধি ও সময়টাও বাড়িয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যাতে যথাযথভাবে এটার তদন্ত হয়। আমি চাই এ ধরনের অন্যায় বা হত্যাকান্ড যারাই ঘটাক, এর যথাযথ তদন্ত করে তার বিচার হবে। এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের অবশ্যই বিচার করা হবে। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলছি, হত্যাকান্ডের সাথে যারা জড়িত- সে যেই হোক অবশ্যই তার বিচার করা হবে এবং কারা জড়িত, তদন্ত করেই তা বের করা হবে।”
তিনি উদহারণ দেন, রংপুরে একটা ঘটনা ঘটেছে (সাঈদ নামের শিক্ষার্থীর মৃত্যু)। যে পুলিশ সদস্য দায়ী তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। এ ঘটনার বিচার হবে।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে যারা ছাত্র বা পরীক্ষার্থী ছিল- তাদের সবাইকে জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর সাথে সাথে যেসব ছাত্ররা নিরীহ, যারা খুন ও ধ্বংসাত্মক কাজে জড়িত নয়, আমি তাদেরকে মুক্তি দেওয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি এবং সেটা শুরু হয়ে যাচ্ছে। চিহ্নিত দোষী
ছাড়া বাকীদের আমরা মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আবারো আলোচনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমার সাথে যদি তারা বসতে চায়, তাহলে আমি বসতে রাজি। তারা যদি এখনও আসতে চায়, কথা বলতে চায় আমি তাদের সাথে কথা বলতে রাজি। তাদের আর কি কি দাবি বাকী আছে- আমি সেটা শুনতে চাই এবং যেটা আমার সাধ্যের
মধ্যে সেটা আমি পূরণ করতে চাই।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, “তাদের দাবি দাওয়া আমরা মেনে নিয়েছি (কোটার দাবি পূরণ)। এখন আরো কিছু আছে কিনা- সেটা আমি শুনতে চাচ্ছি এবং আপনাদের সামনে আমি বলতে চাচ্ছি। দেশবাসীরও জানা উচিত যে, আমি কখনোই আমার দরজা বন্ধ করিনি। গণভবনের দরজা খোলা। যখনই এই আন্দোলনকারীরা কথা বলতে চায়, আলোচনা করে সমাধান করতে চায় আমি তাদের সাথে নিজেই বসতে রাজি।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুর রহমান এমপি, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দের মধ্যে অধ্যাপক ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, অধ্যাপক ড. মো. নিয়ামুল হক ভূইয়া, ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর এমপি, ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. ইঞ্জিনিয়ার মো. হাবিবুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, অধ্যক্ষ একেএম ফজলুল হক, ইঞ্জিনিয়ার এস.এম. খাবিরুজ্জামান, এডভোকেট আব্দুর রহমান হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার মো শাহাদাৎ হোসেন (শীবলু) অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, এডভোকেট শাহ মঞ্জু- রুল হক, ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, খায়রুল আলম প্রিন্স, এস.এম মঞ্জু- রুল হক ও মো. অহিদুল ইসলাম অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।