X

ছুটির আগেই ক্যাম্পাস ছেড়েছেন রাবির অধিকাংশ শিক্ষার্থী

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ছুটি। তবে এর আগেই ক্যাম্পাস ছেড়েছেন অধিকাংশ শিক্ষার্থী। লাগাতার শাটডাউনে এমন পরিস্থিতি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ইফতেখার আলম মাসুদ বলেন, ছুটির আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের রুটিন ওয়ার্ক চলবে। তবে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর ক্যাম্পাস বন্ধ থাকবে।গত ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় ক্যাম্পাস শাটডাউন ঘোষণা করে শিক্ষক-কর্মকর্তারা। এতে একাডেমিক ও দাফতরিক কার্যক্রম বন্ধ হয়। ফলে ক্যাম্পাস ছাড়তে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। তবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন ঘিরে শাটডাউন নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। জামাতপন্থি শিক্ষকরা ২২ সেপ্টেম্বর ও কর্মকর্তা ২৪ সেপ্টেম্বর শাটডাউন প্রত্যাহার করেন। চালিয়ে যান বিএনপিপন্থি শিক্ষকরা। তবে উপাচার্যের আশ্বাসে ২৫ সেপ্টেম্বর শাটডাউন শর্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার করেন তারা। ২৪-২৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের জন্য ছুটি ছিল। তবে শাটডাউনে ভোট পেছানোর কারণে ছুটি বাতিল হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন।

 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, শাটডাউনে ক্লাস তো হচ্ছিল না। নির্বাচনে ও সাপ্তাহিক ছুটির পর ২৮ সেপ্টেম্বর একদিন ক্লাস চলার কথা। তবে শাটডাউনে সেটাতেও সংশয় ছিল। ফলে অধিকাংশই চলে গেছে।জানা গেছে, পূজা উপলক্ষে সনাতনী শিক্ষার্থীরা বাড়ি গেছেন। পরীক্ষা চলা বিভাগসহ কিছু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। শাটডাউনে অধিকাংশ বিভাগে তেমন ক্লাসও হচ্ছে না। শিক্ষার্থী কম থাকায় কিছু হলের ডাইনিং বন্ধ হয়েছে।ডাইনিং পরিচালকরা বলছেন, শিক্ষার্থী কম। খাবার বিক্রি হচ্ছে না। এতে লোকসানে পড়তে হচ্ছে। তাই বন্ধ করা হয়েছে।এদিকে, বিকেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শাটডাউন প্রত্যাহার করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থি সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ।সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের দ্রুত বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন উপাচার্য। ফলে কর্মসূচি আপাতত স্থগিত।

 

এর আগে, শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় পাঁচ-দফা দাবি জানায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এর মধ্যে রয়েছে, লাঞ্ছনায় জড়িতের স্থায়ী বহিষ্কার; রাকসু নির্বাচনে তাদের প্রার্থিতা বাতিল; দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ; নির্বাচন ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি এবং শিক্ষকদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষা।উল্লেখ্য, শিক্ষকদের ঘোষিত শাটডাউনে রাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ২৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ১৬ অক্টোবর পুনর্নির্ধারণ করেছে কমিশন।

Md Abu Bakar Siddique:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings