X

জয় মিলল অ্যারিজোনাতেও, ৭ সুইং স্টেটই দখলে নিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আগেই বিজয় নিশ্চিত করেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে দেরিতে আসা অঙ্গরাজ্যগুলোর ফলাফল নিজের পক্ষে নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী কমালার সঙ্গে সাবেক এই প্রেসিডেন্ট যেন ব্যবধান কেবলই বাড়াচ্ছেন।

সর্বশেষ অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যেও জয় পেয়েছেন ট্রাম্প। আর এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ৭টি সুইং স্টেটের সবগুলোই নিজের দখলে নিলেন তিনি। অবশ্য সাত ‘সুইং স্টেট’-এর সবগুলোতেই তারা জিতবে বলে আগেই দাবি করেছিল রিপাবলিকানরা।

রোববার (১০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

সংবাদমাধ্যম বলছে, গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সাত ‘সুইং স্টেটের’ সবগুলোতেই নিজেরা জিতবে বলে দাবি করেছিল রিপাবলিকানরা। সেই সাতটির মধ্যে ছয়টিতে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই জিতে গিয়েছিলেন। বাকি ছিল একটি।

সেটি হলো অ্যারিজোনা। এবার মার্কিন এই অঙ্গরাজ্যটিও ডেমোক্র্যাটদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিলেন ট্রাম্প। আর এর মাধ্যমে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলপ্রকাশ সমাপ্ত হল। সাত ‘সুইং স্টেট’-এর মধ্যে আগে যে ছয়টিতে রিপাবলিকানদের জয় এসেছে সেগুলো হল— পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন, মিশিগান, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা এবং নেভাডা।

যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে আসে। আমেরিকান নির্বাচনে রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই অঙ্গরাজ্যগুলোকে বলা হয় রেড স্টেট বা লাল রাজ্য। আর ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোকে বলা হয় ব্লু স্টেট বা নীল রাজ্য।

যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই প্রতিটা নির্বাচনে ধারাবাহিকভাবে একই দলকে ভোট দিয়ে আসে। আমেরিকান নির্বাচনে রিপাবলিকান দুর্গ বলে পরিচিত এই অঙ্গরাজ্যগুলোকে বলা হয় রেড স্টেট বা লাল রাজ্য। আর ডেমোক্র্যাটদের প্রাধান্য পাওয়া স্টেটগুলোকে বলা হয় ব্লু স্টেট বা নীল রাজ্য।

ফলে এসব রাজ্য নিয়ে প্রার্থীদের খুব বেশি চিন্তা করতে হয় না বা মনোযোগ দিতে হয় না। কিন্তু হাতে গোনা কিছু অঙ্গরাজ্য আছে যে রাজ্যগুলোর ভোট, প্রার্থীদের কারণে যে কোনও শিবিরে যেতে পারে। ফলে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা নির্দিষ্ট কিছু সুইং স্টেটের দিকে নজর দেন যেখানে ভোট কোন পার্টির পক্ষে যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বোঝা যায় না। এগুলোই হলো আমেরিকান নির্বাচনের ব্যাটলগ্রাউন্ড বা নির্বাচনী রণক্ষেত্র। এগুলোকেই বলা হয়ে থাকে সুইং স্টেট।

বরাবরের মতো ‘সুইং স্টেট’ নিয়ে এবারও সবচেয়ে বেশি জল্পনা ছিল। এবার সুইং স্টেটের তকমা পাওয়া সাতরি অঙ্গরাজ্যেই ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা জিতেছিল। যদিও এবার অনেকটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ট্রাম্প ও তার দল। আর শেষ পর্যন্ত এই সাত অঙ্গরাজ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও শেষে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা হ্যারিস।

এদিকে অ্যারিজোনায় জয়ের মাধ্যমে মোট ৫৩৮ ইলেক্টোরাল কলেজের মধ্যে ৩১২টি গেল রিপাবলিকানদের ঝুলিতে। অন্যদিকে, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমালা পেয়েছেন ২২৬টি। যদিও হোয়াইট হাউসে পৌঁছাতে ট্রাম্পের দলের দরকার ছিল ২৭০টি ইলেক্টোরাল কলেজ।

অবশ্য বুথফেরত সকল সমীক্ষাতে কমালা হ্যারিসকেই এগিয়ে রাখা হয়েছিল। আবার ‘সুইং স্টেট’গুলোতেও ডেমোক্র্যাটদের এগিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই সব জরিপ ও সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণিত করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে রিপাবলিকানরা।

২০১৬ সালে ট্রাম্প যখন প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, সেই সময় রিপাবলিকানরা পেয়েছিল ৩০৪টি ইলেক্টোরাল কলেজ। কিন্তু এবার তিনি ছাড়িয়ে গেলেন তার আগের ফলকেও।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings