ঢাকা, ১ মে ২০২৫ – ইসলাম ধর্মে জাকাত প্রদান একটি মৌলিক ইবাদত এবং ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম। নামাজের পাশাপাশি জাকাত আদায়ের গুরুত্ব কোরআন ও হাদিসে বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। কোরআনে প্রায় ৮২ বার নামাজ এবং ৩২ বার জাকাত আদায়ের নির্দেশ এসেছে, যা এর গুরুত্বকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে।
জাকাত না দেওয়ার শাস্তি
মহান আল্লাহ বলেন, “যারা সোনা ও রুপা জমা করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি।” (সুরা আত-তওবা: ৩৪-৩৫)। জাকাত প্রদানে অবহেলা করলে আখিরাতে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে, যা ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী একটি গুরুতর অপরাধ।
জাকাতের নিসাব ও হারের হিসাব
জাকাত আদায় বাধ্যতামূলক হয় যদি কারও মালিকানায় এক বছর ধরে থাকে ৮৫ গ্রাম খাঁটি সোনা বা ৫৯৫ গ্রাম খাঁটি রুপার সমমূল্য সম্পদ। নগদ অর্থ, ব্যাংকে জমা টাকা, সঞ্চয়পত্র ও ব্যবসায়িক পণ্যও জাকাতযোগ্য। চান্দ্রবছর অনুযায়ী ২.৫% হারে জাকাত আদায় করতে হয়, আর কেউ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী হিসাব করলে ২.৭৭% হারে জাকাত দেওয়ার বিধান রয়েছে।
জাকাতের উপকারিতা
জাকাত সমাজে অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করে, গরিবের অধিকার নিশ্চিত করে এবং ধনীদের সম্পদকে পবিত্র করে। মহান আল্লাহ বলেন, “তাদের সম্পদ থেকে জাকাত গ্রহণ করুন, যাতে আপনি তাদের পবিত্র ও পরিশোধিত করতে পারেন।” (সুরা আত-তওবা: ১০৩)। দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক সাম্য এবং নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষা জাকাত ব্যবস্থার অন্যতম লক্ষ্য।
সারসংক্ষেপ
জাকাত ইসলামিক অর্থনীতির একটি মূল ভিত্তি, যা ব্যক্তি ও সমাজ উভয়ের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। প্রতি বছর যথাযথভাবে জাকাত প্রদান করলে সমাজে ধর্মীয় দায়িত্ব পালন, অর্থনৈতিক ন্যায্যতা, এবং দারিদ্র্য হ্রাস নিশ্চিত হয়।