X

জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে জোর করে জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন।

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী একটি পরিবার।

শনিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়। তার দাবী এরা প্রতারক, এবং অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদার।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মো: ওসমান গনি শেখ অভিযোগ করেন, রুহুল আমিন হাওলাদার ক্ষমতার দাপটে মামলা হামলা ও প্রশাসনের মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাদের রেকর্ডীয় সাড়ে ২৭ শতাংশ জমি দখলে নেয়। জমি বিক্রি করতে না চাইলে নানা পন্থার আশ্রয় নিয়ে একটি ভূয়া চুক্তিপত্র সৃস্টি করে দলিল সম্পাদনে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদেন জেল হাজতে পাঠায়। জমির দলিল নিতে প্রান নাশের হুমকি দেয়া হয়। জীবনের ভয় আমরা বাড়িঘর ছেড়ে দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়িয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, জে, এল ৩৪নং লতাচাপলী মৌজার এস,এ ১২৯৩ নং খতিয়ানের ৫১৮৫ বাটা ৫৪৭৬ নং দাগের অংশ হইতে সাড়ে ২৭ শতাংশ জমির সাব-কবলা খরিদ মূলে তিনি ওসমান গনি ও তার ছোট ভাই মোঃ ছোবাহান শেখ, দোজাহান শেখ ও নুর ইসলাম শেখ মালিক। একই দাগ খতিয়ানে আমাদের আরেক ভাই মোঃ শাহ আলম শেখ এর ০৪ (চার) শতাংশ জমি রহিয়াছে। জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার শাহ আলম শেখ এর অংশের ০৪ (চার) শতাংশ জমি ক্রয় করেন। তখন আমাদের জমি আমাদের দখলেই ছিল। কিন্তু আমাদের তফসিল বর্ণিত জমির উপর তাহার কু-নজর পরে।

পরবর্তীতে তিনি আমাদের জমিও ক্রয় করার প্রস্তাব দিলে আমরা জমি বিক্রয় করিতে অসম্মতি জানাই। যে কারণে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার আওয়ামী স্বৈরশাসনামলে সাংসদ থাকাকালীন ক্ষমতার দাপট দেখাইয়া আমি ওসমান গনিসহ আমার অপর তিন ভাইয়ের অংশের সাড়ে ২৩ শতাংশ জমি অবৈধভাবে দখলে নিয়া যায়। আমরা শতবার চেষ্টা করিয়াও আমাদের জমি উদ্ধার করিতে পারি নাই। আমরা আমাদের জমি উদ্ধারের চেষ্টা করিলে বিবাদী তাহার ক্ষমতার দাপট দেখাইয়া আমাদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে হয়রানী করিয়াছে। এমনকি আমাকে ও আমাদের পরিবারকে চিরতরে শেষ করার  ষড়যন্ত্র করিয়া একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়া জেল হাজত খাটাইয়াছেন। অশেষে ছাত্র জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর তিনি লাপাত্তা হয়ে যায়।

ভূমি খেকো এই প্রভাবশালী ব্যক্তির অবৈধ দখল থাকা আমাদের জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

আরেক ভুক্তভোগী মো. সোবহান শেখ বলেন, রুহুল আমিন হাওলাদার সাংসদ ও মন্ত্রী থাকাকালীন কুয়াকাটায় একাধিক জমি দখল করে নিয়ে গেছে। যারাই এর প্রতিবাদ করেছে তারাই মামলা হামলার স্বীকার হয়েছে। তার অত্যাচারে এলাকার অনেক মানুষ নিঃশ হয়ে গেছে। আমরাও নিঃশ্ব হয়ে গেছি।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি কারো জমি জবর দখল করেননি। উল্টো ওসমান শেখ আমার কাছে বায়না চুক্তির মাধ্যমে জমি বিক্রি করেছে। তিনি জমির টাকাও নিয়েছে। কাগজ পত্রে তার মালিকানা সঠিক না থাকায় তিনি জমির দলিল না দিতে পেরে নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়। যার প্রেক্ষিতে আমি মামলা করতে বাধ্য হয়েছি। ওই জমি নিয়ে সরকারের সাথে মামলা চলমান রয়েছে।

রুহুল আমিন হাওলাদার দাবী করেন, তার বায়না চুক্তির জমিতে ওসমান শেখ নিয়মবহির্ভূত ভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে।

তিনি আরো বলেন, ওসমান শেখ ছাড়া অন্য ওয়ারিশরা তার কাছে সাব কবলা দলিল মুলে বিক্রি করেছে। এখন তারাও বলছে আমরা দলিল দেইনি। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আপনারা কাগজপত্র পর্যালোচনা করলে যার সত্যতা বেড়িয়ে আসবে।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings