১৪ (নভেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচী করে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্টরা ।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত, ‘বৈষম্য বিরোধী মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে।
ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ২০১৯ সালের ভয়াবহ কোভিড ১৯ কালীন সময়ে হয়েছিল প্রতিদিনের মিডিয়ার শিরোনাম। । জীবনের মায়া ত্যাগ করে মানুষের জীবন বাঁচাতে ছুটে চলা প্রথম সারির যোদ্ধাদের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশাজীবীর নাম মেডিকেল টেকনোলজিস্ট।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়ের অধীনে “সেবা পরিদপ্তর” বাংলাদেশের নার্সিং ব্যবস্থাপনা ও সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে গঠন করা হয় ১৯৭৭ সালে। কাজের পরিধি বৃদ্ধি ও জনবলের আকার বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে ১৬ নভেম্বর ২০১৬ সালে সেবা পরিদপ্তরকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর হিসেবে উন্নীত করা হয়।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন পরিচালিত দেশে সরকারি পর্যায়ে ২৩ টি এবং বেসরকারি পর্যায়ে ৬৫ টিরও অধিক বেসরকারি আইএইচটি সমূহে ০৮ টি রয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের নিকট আমাদের নিম্নোক্ত দাবীসমূহ আপনাদের মাধ্যমে উপস্থাপন করছি-
১. স্বতন্ত্র পরিদপ্তর গঠন করতে হবে।
২. ডিপ্লোমাধারীদের ১০ ম গ্রেড (২য় শ্রেণীর গেজেটেড) পদমর্যাদা প্রদান করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নীতিমালা অনুযায়ী আনুপাতিক হারে পদ সৃজন পূর্বক দ্রুত নিয়োগ এর ব্যবস্থা করতে হবে, পাশাপাশি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০১৩ সালের স্থগিতকৃত নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে।
৩. গ্র্যাজুয়েট মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের নবম গ্রেডের পদসৃষ্টি পূর্বক চাকুরীজীবিদের আনুপাতিক হারে পদোন্নতির নিয়ম বহাল রেখে স্ট্যান্ডার্ড সেট আপ ও নিয়োগবিধি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৪. ঢাকা আইএইচটি-কে “বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি” নামকরণে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে হবে এবং উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য সকল আইএইচটিসমূহের জন্য মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট শিক্ষকদের স্বতন্ত্র ক্যারিয়ার প্লান গঠন করে বিদ্যমান নিয়োগ বিধি ও অসংগতিপূর্ণ গ্রেড সংশোধন করতে হবে।
৫. মেডিকেল টেকনোলজি কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে পেশাদার লাইসেন্স প্রদান, ডিপ্লোমা মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড গঠন এবং প্রাইভেট সার্ভিস নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৬. বি ফার্ম সহ সকল অনুষদের বিএসসি ও এমএসসি কোর্স চালু করা এবং স্কলারশিপ সহ প্রশিক্ষণ ভাতা চালু করতে হবে।
দেশের মানুষের কল্যাণে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, শিক্ষক, পেশাজীবীদের আত্মমর্যাদা, সামাজিক অবস্থান সর্বোপরি স্বাস্থ্যসেবায় তাদের গুরুত্ব বিবেচনা করে মেডিকেল টেকনোলজি ও ফার্মেসী পেশাকে বৈষম্য ও বঞ্চনার বেড়াজাল থেকে মুক্ত করার জন্য বিনত আহবান জানাচ্ছি।
উক্ত ছয় দফা দাবি আগামী তিন কর্ম দিবসের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে আগামী সোমবার থেকে বৈষম্য বিরোধী জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদের নেতৃত্বে সকল মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের নিয়ে লাগাতার কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান পরিষদের মহাসচিব মোঃ রিপন সিকদার ও সভাপতি আব্দুস সামাদ সহ অনেক নেতাই বক্তব্য প্রদান করেন বৈষম্যবিরোধী জাতীয় মেডিকেল টেকনোলজি পরিষদ