X

জামায়াত–শিবিরকে নিষিদ্ধ করাই শেষ কথা নয়: সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম

জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করাই শেষ কথা নয় বলে মনে করে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম। দেশকে সুস্থ, গণতান্ত্রিক ও মুক্তিযুদ্ধের প্রগতিশীল ধারায় পরিচালিত করতে সরকার, গণসংগঠন ও সাংস্কৃতিক সমাজের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মনে করে সংগঠনটি।

জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারির পর আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগেই জামায়াত-শিবিরকে যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী দল হিসেবে অভিহিত করেছে। দলটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর সহযোগী ছিল। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার ধর্মের অপব্যবহার, স্বাধীনতার বিরোধিতা ও গণহত্যায় অংশ নেওয়ার জন্য দলটিকে নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের সরকার দলটিকে রাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে দেয়। জামায়াত বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, বরং প্রতিরোধ করেছে। গত ৫৩ বছরেও দলটির নীতি-আদর্শের পরিবর্তন ঘটেনি।

এদিকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করায় সন্তোষ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার। তাঁরা বলেন, জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করায় ছাত্র–জনতার দীর্ঘদিনের দাবি ও আন্দোলনের বিজয় হলো।

জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার অংশ হিসেবেই তাদের সংগঠনের সব পর্যায়ের সদস্যদের সন্ত্রাসবাদী হিসেবে তালিকাভুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করার দাবিও জানিয়েছে জাসদ। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বানও জানিয়েছে দলটি।

অপর দিকে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গৌরব ’৭১। সংগঠনটি এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, শুধু রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করলেই চলবে না, জামায়াত-শিবিরের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বাজেয়াপ্ত করে সেই সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings