দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রমে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনায় তার আর কোনো বাধা নেই। বুধবার (১৩ আগস্ট) জি এম কাদেরের আইনজীবী মনোয়ার হোসাইন আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ অতিরিক্ত আদালতের বিচারক রোবায়েত ফেরদৌস বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মামলার বাদী জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মামলা প্রত্যাহার করে নেন। গত ২ আগস্ট মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেন জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান।
এর আগে, গত ৩০ জুলাই প্রথম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে জাতীয় পার্টির সদ্য অব্যাহতি পাওয়া মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ দলের সাবেক শীর্ষ ১০ নেতার করা মামলায় আবেদন মঞ্জুর করেন সংশ্লিষ্ট বিচারক মো. নুরুল ইসলাম। একই সঙ্গে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ১০ জনের প্রাথমিক পদসহ সাংগঠনিক পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত যাদের পদ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় তারা হলেন- জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, জাতীয় পার্টির দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ (চট্টগ্রাম), প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আকতার (ফেনী), প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম জহির (টাঙ্গাইল), প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ (জামালপুর), প্রেসিডিয়াম সদস্য জসীম উদ্দিন (নেত্রকোনা) এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য আরিফুর রহমান খান (গাজীপুর)।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সালের ১৮ জুলাই পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা জি এম কাদেরকে পার্টির চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন, যা গঠনতন্ত্রের পরিপন্থি। ওই বছরের ২৮ ডিসেম্বর জি এম কাদের পার্টির সম্মেলন ও কাউন্সিল করে অবৈধভাবে নতুন গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেন। সর্বশেষ ২০২৫ সালের ২৮ জুন প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পদ থেকে দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ সাতজনকে, পরে আরও তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং জাতীয় পার্টির নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকেও তাদের নাম মুছে ফেলা হয়। ওই ঘটনায় গত ১০ জুলাই মুজিবুল হক চুন্নু, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ১০ জন বাদী হয়ে মামলা করেন।