X

জুলাই বিপ্লবে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকা, শিবির সেক্রেটারি

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ১১৯ নং কক্ষে শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এই কথা বলেন।শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শাখা সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চালনায় ইফতার প্রোগ্রামে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম আরিফ, সাহিত্য-প্রকাশনা ও আইন সম্পাদক সোহাগ আহমেদ, শিক্ষা ও এইচআরএম সম্পাদক শাওন সরদার ও অর্থ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন।শিবির সেক্রেটারি বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা জুলাই বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তারা কারও পারপাস সার্ভ করার জন্য কাজ করেনি। স্বাধীনভাবে দেশের পক্ষে কাজ করে গেছেন তারা। এই ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা না থাকলে জুলাই বিপ্লব সফল হতো না। জুলাই-এ এক পর্যায়ে সবাই লেখালেখি বন্ধ করে দিলেও ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা সাহস করে তাদের লেখা চালিয়ে গিয়েছিল।

দেশের মিডিয়া অঙ্গনের সমালোচনা করে নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে মিডিয়াগুলো এমন একটা এস্টাবলিশমেন্টকে সার্ব করার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। কোন প্রতিষ্ঠান তার নিজের অপকর্ম ঢেকে রাখার জন্য এসব মিডিয়া তৈরি করে। কারণ সে চিন্তা করে, তার নামে একটা রিপোর্ট করলে এটিকে কাউন্টার দেয়ার জন্য তারও একটা মিডিয়া দরকার। এখান থেকে ইয়েলো জার্নালিজমের উৎপত্তি হয়। কোন নিউজ দেয়া যাবে – যাবে না, তা যখন কোন গোষ্ঠী স্বার্থের ওপর নির্ভর করে, তখন এটি আর সাংবাদিকতা থাকে না, ইয়েলো জার্নালিজম হয়ে যায়।নুরুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা অনেক সাংবাদিক দেখি, বাড়ি-গাড়ি করে ফেলেছে। একটা ক্রাইমের রিপোর্ট করে সিন্ডিকেট করে অনেক টাকা আয় করা যায়। আবার অনেক সাংবাদিক খুব কষ্টে দিনাতিপাত করে। দিনশেষে চলার মত অর্থও তার থাকে না। তাই আমরা চাই, সাংবাদিকদের কল্যাণে রাষ্ট্রের আলাদা একটা বরাদ্দ, পলিসি থাকবে। যাতে তারা নিরেপক্ষভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।

সাংবাদিকদের কমিউনিটির স্বার্থে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শিবির সেক্রেটারি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থ নয়, গোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে কমিউনিটির স্বার্থে আমরা যাতে সবাই কাজ করি। এমন নিউজ যাতে আমরা না করি, যার ফলে সমাজে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে ভায়োলেন্সে (সহিংসতা) কারও জীবনও চলে যেতে পারে। এই ধরণের ঘটনার দায় দায়িত্ব আমরা কোন দিন এড়াতে পারি না। দুনিয়াতে এড়ানো গেলেও আল্লাহর কাছে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। প্রত্যেকটা কাজে যদি আমরা আমানতদারীর চেতনা ডেভেলপ করতে পারি, তাহলে প্রতিটি কাজই আমাদের জন্য ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হয়। মুসলামানদের জন্য এটাই একটা বড় সুযোগ, সে যে কাজই করুক না কেন, তা ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হয়। মুমিন ব্যক্তি তার ব্যবসা, সাংবাদিকতা সবক্ষেত্রেই মোরাল এথিকস মেনে চলার চেষ্টা করে। সেটাই তার জন্য ইবাদত।এ সময় ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন জবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন, জবি প্রেসক্লাবের সভাপতি সুবর্ণ আস সাইফ এবং জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি অমৃত রায়। এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।

ইফতার মাহফিল শেষে শিবির সেক্রেটারি সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এসে সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings