টানা শীতে কাবু চুয়াডাঙ্গার মানুষ। প্রায় সাপ্তহ ধরে জেলা জুড়ে শীত জেঁকে বসেছে। এ সময় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি থেকে ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে। উত্তরের হিমেল বাতাস বাড়িয়ে শীতের তীব্রতা। অনুভূত হচ্ছে কনকনে শরীর কাঁপানো শীত। তীব্র ঠান্ডায় গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে বিভিন্ন এলাকা। চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে। এটা আরও বিস্তৃত হয়ে দুই-তিনদিন চলতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
গতকাল রবিবারও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রির নিচে নেমেছে। এদিন জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ৮০ শতাংশ রেকর্ড করেছে। সকাল ৬টা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিলো ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। এর আগে শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে এ জেলায়। সারদিনই বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ । আকাশে মেঘের পরিমাণ কমে গেছে। সেই সঙ্গে সকাল সকাল কুয়াশা কেটে গিয়ে ঝলমলে রোদের দেখা মিলেছে।মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও দিনের বেলা ঝলমলে রোদ থাকায় জনজীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। আরও দুই-তিনদিন শৈত্যপ্রবাহ থাকতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান, শৈত্যপ্রবাহ আরও বিস্তার হবে। কাল, পরশু তাপমাত্রা কমবে। এরপর তিন থেকে চার দিন তাপমাত্র বাড়ার পর আবার কমবে। কুয়াশার কারণে শীত বেশি লাগবে।
উল্লেখ্য ১৩ ডিসেম্বর সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয় চুয়াডাঙ্গাতে। ১২ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। এর আগে ১১ ডিসেম্বর সকাল ৯ টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াম। ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে । ৯ ডিসেম্বর একই সময় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শীতে বেড়েছে পিঠা পুলির কদর। জেলার বিভিন্ন মোড়ে ও অলিতে গলিতে বসেছে পিঠার দোকান। বিকাল হতে রাত পযর্ন্ত চলে জমজমাট পিঠার বেচাকেনা। রবিবার শহরের রেলস্টেশন, টিএন্ডটি, সরকারি কলেজ মোড়, ওয়াপদা, পান্না সিনেমা হল, কোটমোড়, একাডেমী মোড় ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সের নারী ও পুরুষ ছোট পরিসরে পিঠা পুলির পসরা সাজিয়ে বসেছেন। এখানে চিতই পিঠা,ভাপা পিঠা, পাকান পিঠ, দুধ পুলি, পাটি সাপটা বিক্রি হচ্ছে। প্রকার ভেদ প্রতিটি পিঠা ৫-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেউ পরিবার সাথে নিয়ে কেউ বন্ধু বা বান্ধবিকে সঙ্গে নিয়ে পিঠা পুলির সাধ নিচ্ছে।