X

ঢাকা মেডিকেলে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ ছিলেন ডিডি আশরাফ

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নানা অনিয়মের অভিযোগে হাসপাতালের উপ-পরিচালক (ডিডি) (চলতি দায়িত্ব) (প্রশাসন) ডা. আশরাফুল আলমকে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড‍্যাব) ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মীরা।

আজ (শনিবার) দুপুরে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন ড‍্যাব ও ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মীরা।

এ সময় উপ-পরিচালক আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে ড‍্যাব ও সাবেক ছাত্রদল নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন তিনি মোটা অংকের টাকা নিয়ে হাসপাতালে আউটসোর্সিং-এর মাধ্যমে নিয়োগ করেছেন, ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সুইজারল্যান্ডে ‘আমোদ-ফুর্তি’ করেছেন, ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের কাজ পাইয়ে দিয়েছেন।

আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ করা হয় তিনি আওয়ামী লীগের আমলে সাবেক ছাত্রলীগের ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখার সহ-সভাপতি পরিচয় দিতেন এবং বর্তমানে নিজের চেয়ার ঠিক রাখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি পরিচয় দিচ্ছেন। ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মীরা বলছেন, আশরাফুল আলম কখনোই ছাত্রদলের কোনো পদে ছিলেন না বরং তিনি ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন। তিনি ছিলেন গত ফ‍্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর।

তারা আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন অভিযোগে দুইজন ওয়ার্ড মাস্টারকে ধরা হলেও এই উপ-পরিচালক আশরাফের অনুসারী হওয়ায় তাদের আবার চাকরিতে বহাল করা হয়। ঢামেক হাসপাতালে ওয়ার্ড মাস্টার নিয়োগ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সহকারী পরিচালক (অর্থ ও স্টোর) থেকে তিনি উপ-পরিচালকের চলতি দায়িত্ব পদ বাগিয়ে নেন। তিনি ঢাকা মেডিকেলের অঘোষিত পরিচালক। কিন্তু এইভাবে আর চলতে দেওয়া যাবে।

আশরাফুল আলমকে বদলি এবং তার শাস্তির দাবি করেন ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মীরা।

আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ ও তাকে অবরুদ্ধ করার বিষয়ে জানতে তার মুঠোফোনে বারবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এবং ফোন কেটে দেন। ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আশরাফুল আলমকে অবরুদ্ধ করার সময় হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, ঢামেক হাসপাতালের ড‍্যাবের সভাপতি ডা রেজওয়ানুর রহমান সোহেল, ক্লোরাইটাল সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার আহসান হাবিব জাবের, ইউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আসাদুজ্জামানসহ ৪০ থেকে ৫০ জন চিকিৎসক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Categories: জাতীয়
Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings