X

তারুণ্যে যেসব প্রলোভনের ফাঁদে অনেকেই পা দেন

যৌবনের শুরুর সময়টা সুন্দর। আমাদের বেশির ভাগ ভালো স্মৃতি যেমন এই সময়ে জমা হয়, তেমনি নতুন অনেক চ্যালেঞ্জেরও মুখোমুখি হই আমরা। অনেক প্রথমের মতো এই সময় আমরা অনেক ভুলই করি, যেগুলো পরবর্তী জীবনে গভীর আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কাজেই এই ভুলগুলো জানা থাকলে ভবিষ্যতে খুব সহজেই এড়ানো যাবে।

এ বয়সে চারপাশে ছড়িয়ে থাকা ‘শর্টকাটে’ দ্রুত ধনী হওয়ার নানান ফাঁদ। সেখানে পা গলিয়ে অর্থ ও সম্মান খোয়ানোর ঝুঁকি থাকে অনেকখানি।

সময়ের মূল্য না বোঝা

এ বয়সে সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য মা-বাবাও থাকেন না। সরাসরি আয় করা, পরিবারের দায়িত্ব নেওয়াও শুরু হয় না। তাই সময়ের প্রকৃত মূল্য বোঝাটা আমাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে সময় নষ্ট করার অনুষঙ্গ আর ইচ্ছা দুটিই থাকে অনেক বেশি।

ব্যর্থতাতেই নিজের শেষ দেখে ফেলা

এ সময়ই যেহেতু আমরা নতুন কিছু করার চেষ্টা করি বেশি, কাজেই ব্যর্থতার পাল্লাটাও এ সময়েই বেশি থাকে। ভাঙা হৃদয় জোড়া লাগাতে গিয়ে অনেকেই জীবনের স্বাভাবিক ছন্দ থেকে ছিটকে পড়েন। সমস্যা হয় যখন আমরা এ ব্যর্থতাকেই জীবনের চূড়ান্ত বলে মেনে নিয়ে রণে ভঙ্গ দিই। অথচ এমন সব ব্যর্থতা থেকেই হতে পারে দারুণ কিছুর শুরু।

অপ্রয়োজনীয় টাকা খরচ

বন্ধুর আইফোন বা দামি গেজেট দেখে মুগ্ধ হয়ে অনেকেই সেগুলো কেনার জন্য হন্যে হয়ে ওঠেন। আবার অনেকেই ভাবেন, প্রেমিক বা প্রেমিকার মন পাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় দামি উপহার। মনে করেন, একটা ভালো মোটরবাইক ছাড়া জীবনটা আর চলছে না। এমন সব সময়ে প্রয়োজন আর বিলাসিতার ফারাক লীন হয়ে যায়। আর লোকদেখানো আভিজাত্যের ফাঁদে পা দিয়ে সামর্থ্য আর চাহিদার ভারসাম্যহীনতায় অনেকেই হীনম্মন্যতায় ভোগেন, অনেকেই হতাশ হয়ে অসৎসঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। হাত বাড়ান নিষিদ্ধ আসক্তির দিকে।

সবকিছু তাড়াতাড়ি পেতে চাওয়া

বিশেষ করে এখনকার তরুণদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা যায়। কেননা, আশপাশের অনেকেই (জেন–জিদের একটা অংশ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে গড়পড়তা চাকরির চেয়ে বেশি অর্থ কামাই করতে শুরু করেছেন। আর টাকা থাকা মানে অনেক কিছুই থাকা। সেটি অন্যদের ভেতর একটা নীরব, অসম প্রতিযোগিতা আর ক্ষোভ তৈরি করে। এই যুগে সবাই যখন সবকিছু পেয়ে যাচ্ছে, তখন ধৈর্য ধরা কিছুটা কঠিনই বটে। কিন্তু এই কঠিন কাজটা করতে পারলে আপনার জীবন অনেকখানি সহজ হয়ে উঠবে।

সবাইকে খুশি করার চেষ্টা

জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য সবার সবকিছুতে হ্যাঁ বলা একদিকে যেমন আপনাকে সময়ের ঘাটতির মধ্যে ফেলে দেবে, তেমনি আপনার ব্যক্তিত্বকেও করে তুলবে দুর্বল ও অনাকর্ষণীয়।

মা–বাবার ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হওয়া

না, আমরা আপনাকে ঘরবাড়ি ছেড়ে বেদুইন হতে বলছি না। তবে বয়স বিশ পার হয়ে যাওয়ার পর নিজের সব দায়দায়িত্ব মা–বাবার ঘাড়ে না চাপিয়ে নিজেকেও নিজের দায়িত্ব নিতে শিখতে হবে।

এগুলো জানলেই যে কেউ এই ভুলগুলো আর করবে না, এমন নয়। তবে কোনো অপরিচিত পথে চলার আগেই যদি সেই পথের গর্তগুলো চিনে নেওয়া যায়, তবে সেই পথচলা আরও সহজ হয় বৈকি!

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings