তুলসী এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: গবেষণালব্ধ প্রতিবেদন
তুলসী (Ocimum sanctum) একটি পরিচিত ঔষধি গাছ, যা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত হয়। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে তুলসী পাতার নির্যাস ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।গবেষণার ফলাফল:
গবেষণায় দেখা গেছে যে তুলসী পাতার নির্যাস:
বিটাকোষ থেকে ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায়, যা রক্তে তুলসী সাম্প্রতিক গবেষণা হতে জানা যায় যে, তুলসী পাতার নির্যাস বিটাকোষ হতে ইনসুলিনের উৎপাদন, পেশিকোষ ও চর্বিকোষের ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ায়। এছাড়া যকৃৎ হতে গøুকোজের নিঃসরণ কমায়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তুলসী খুব কার্যকর ও মহাশক্তিধর ভেষজ।পেশিকোষ ও চর্বিকোষের ইনসুলিন গ্রহণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফলে শরীর সহজেই গ্লুকোজ গ্রহণ করতে পারে।যকৃৎ থেকে গ্লুকোজের নিঃসরণ হ্রাস করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে রাখে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তুলসীর উপকারিতা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে।প্রাকৃতিক উপায়ে ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার সুযোগ দেয়।অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা শরীরের প্রদাহ হ্রাসে সহায়ক।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তুলসী ব্যবহার করতে পারেন তুলসী পাতা চিবিয়ে খাওয়া (সকালে খালি পেটে)।তুলসী পাতার রস পান করা।তুলসী চা পান করা।ক্যাপসুল বা সাপ্লিমেন্ট আকারে গ্রহণ।গবেষণালব্ধ তথ্যানুসারে তুলসী ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে একটি শক্তিশালী ভেষজ উপাদান। এটি প্রাকৃতিকভাবে ইনসুলিন কার্যকারিতা উন্নত করে ও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। তবে তুলসী গ্রহণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।