X

দু‘দেশের টানপড়নে দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরে কমেছে আমদানি নেই কর্মব্যস্ততা

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চলমান টানপড়নে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল বন্দরে কমেছে রাজস্ব আয়। আমদানি সীমিত হওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বন্দর শ্রমিকরা। এ বন্দর দিয়ে সীমিত পরিসরে সিমেন্ট তৈরীর কাঁচামাল (ফ্রাই এ্যাস) ও খৈল ছাড়া সব ধরনের মালামাল আমদানি বন্ধ রয়েছে। ভারত থেকে গেল ৯ মাস আগে আলু-পেঁয়াজ এবং তিন মাস আগে সবর্শেষ পাথর আমদানি করা হয় । অল্প কিছু পণ্য আমদানি হলেও রেল ইয়ার্ডে নেই আগের মতো সেই কর্মব্যস্ততা। একই সাথে সরকারের রাজস্ব আয়ও কমেছে বহুগুনে। তবে কবে নাগাদ আমদানি স্বাভাবিক হবে সে ব্যাপারেও রয়েছে অনিশ্চয়তা। দর্শনা রেলবন্দর কর্তৃপক্ষ বা আমদানিকারকরাও নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশন সূত্রে জানা যায়, দেশের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ভারত থেকে আমদানি করা হয় ধান, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, খৈল, পাথরসহ নানা ধরনের পণ্য। আমদানিকৃত এসব পণ্যের একটা বড় অংশ আসে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা রেলবন্দর দিয়ে। ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা, ঢাকার সঙ্গে অল্প দূরত্ব ও স্বল্প ব্যয়ে আমদানি-রপ্তানির জন্য দর্শনা রেলবন্দর ব্যবসায়ীদের পছন্দের শীর্ষে থাকায় প্রতি বছরই বাড়তো পণ্য আমদানির পরিমাণ।

দেশের সাবিক পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরের মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ভারত থেকে সর্বশেষ ৪২টি ওয়াগানে ১ হাজার ৬৫০ টন পেঁয়াজের একটি চালান চুয়াডাঙ্গার দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলওয়ে স্টেশনে আসে । বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবি) উক্ত পেঁয়াজ আমদানি করে। এছাড়া একই মাসের প্রথম সপ্তাহে সর্বশেষ আলু আমদানি হয় এ স্টেশন দিয়ে। এছাড়াও গত তিন মাস ধরে পাথর আমদানিও বন্ধ। বর্তমানে শুধু সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ফ্লাই অ্যাশ আর ফিড তৈরির কাঁচামাল খৈল আমদানি হচ্ছে। কিন্তু গত কয়েক মাস তা বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়ছে এ জেলার অর্থনীতি।

ব্যবসায়ীদের মতে, ব্যাংক চাহিদা মতো এলসি অনুমোদন না করায় পণ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। অল্প কিছু পণ্য আমদানি হলেও রেল ইয়ার্ডে নেই আগের মতো সেই কর্মব্যস্ততা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন স্থানীয় অনেক শ্রমিক ও ট্রাকচালক। আর আমদানিকারকরাও আছেন বিপাকে।

দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনের মাস্টার মির্জা কামরুল হক জানান, আপাতত কোন খাদ্যদ্রব্য আমদানি হচ্ছে না। যে দুটি পণ্য আমদানি হচ্ছে তা হলো সিমেন্ট ও পোল্ট্রি ফিড তৈরির কাঁচামাল। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে পণ্য আমদানি কমেছে। এতে রাজস্ব আদায়ও কমেছে। এখনো পর্যন্ত পণ্য আমদানি স্বাভাবিক পর্যায়ে আসেনি।

কাস্টমস অফিস সূত্রে জানা গেছে, দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশনে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ২ হাজার ৭শ ৯৮টি ওয়াগনে ১২ লাখ ৩২ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন খাদ্যদ্রব্যসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি হয়েছে। এতে রাজস্ব আদায় হয় ৫৯ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৯ হাজার ৭শ ৪৯ ওয়াগনে ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫৯ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয় । যা থেকে রাজস্ব আয় হয় মাত্র ২৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ১ হাজার ৫৫৪ ওয়াগনে ৯১ হাজার ৯৭৭ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি হয়েছে। এ সময়ে রাজস্ব আয় হয়েছে ৪ কোটি ১২ লাখ টাকা।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings