X

দুর্ঘটনায় বুয়েট শিক্ষার্থীর মৃত্যু, সুষ্ঠু বিচারসহ ৬ দফা দাবি

পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিএসই (২০২১) ব্যাচের ছাত্র মোহতাসিম মাসুদ। দুর্ঘটনায় বুয়েট শিক্ষার্থী অমিত সাহা এবং মো. মেহেদি হাসান খান আহত হয়েছেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচারসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় পলাশী মোড়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- যেকোনো মূল্যে এই হত্যাকাণ্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার অবশ্যই বিবাদী-পক্ষকে বহন করতে হবে, নিহত মাসুদের পরিবারকে যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে বিবাদীপক্ষকে বাধ্য করতে হবে, তদন্ত কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে, আহতদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার ব্যাপারে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে এবং সড়ক দুর্ঘটনার কারণে আর কারো প্রাণ যেন না যায় এবং সড়কে নিরাপত্তা যেন নিশ্চিত হয়, সেই ব্যাপারে যথোপযুক্ত ভূমিকা রাখতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, এখন পর্যন্ত এই ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে আমরা অমিতের কাছ থেকে যা জানতে পেরেছি তা হলো, পুলিশের সংকেত পেয়ে তারা বাইক থামিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলছিল। আমরা সুস্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছি যে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

আমরা এই ঘটনায় গভীরভাবে শোক জ্ঞাপন করি, নিহতের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। আমরা আমাদের ভাইয়ের হত্যার সুষ্ঠু ও অতিসত্বর বিচার চাই। যেকোনো মূল্যে ক্ষমতার বিপরীতে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা হোক।

শিক্ষার্থীরা বলেন, এই আকস্মিক হত্যাকাণ্ডের শোকে আমরা যখন হতবিহ্বল, ঠিক তখনই আমরা জানতে পারি যে, অভিযুক্ত গাড়িচালকের বাবা একজন প্রভাবশালী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। তার কারণে আমাদের এক ভাইয়ের যখন প্রাণ দিতে হলো, আমাদের আরো দুই ভাই যখন মারাত্মভাবে আহত, হাসপাতালের বিছানায় মারাত্মক যন্ত্রণায় কাতর, ঠিক তখন গাড়িচালকের ক্ষমতাশালী আত্মীয়রা মামলার মোড় ঘোরানোর, এমনকি মামলা যাতে না নেওয়া হয়, তার ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত।

তারা বলেন, অতীতেও আমরা দেখেছি যে অপরাধী যদি প্রভাবশালী হয়, তাহলে বিভিন্নভাবে প্রভাব খাটিয়ে, ভিকটিমের পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে, হুমকি-ধামকি দিয়ে, ভিকটিমের পরিবারকে মামলা না করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। প্রাথমিকভাবে মামলা হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন ধাপে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ প্রভাব খাটায়, কিংবা আরো নানাভাবে ছাড় পেয়ে যায়। এটা আমরা হতে দিতে পারি না কখনোই।

Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings