হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় আঁখের রস দিয়ে লালিগুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। খেত থেকে আঁখ কাটার পর মেশিন দিয়ে বের করা হয় রস। সেই রস আগুনে জ্বালিয়ে করা হয় লালিগুড়। এ গুড় বিক্রি করে চাষিরা যেমন লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তেমনি আখের রসের তৈরি লালিগুড়ে খুশি ভোক্তারা।
চুনারুঘাট উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খোয়াই নদীর দুই পাশে এক সময়ে প্রচুর আখ চাষ হতো। আখ বিক্রির পাশাপাশি তৈরি করা হতো রসের লালিগুড়। নদী থেকে অবাধে বালু তোলা, নাব্য সংকট ও পলি না পরায় কমেছে মাটির উর্বরতা। যে কারণে আগের মতো আখ চাষ হচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানান, আখের রসের লালিগুড় অত্যন্ত সুস্বাধু। চাষিরা দেশি পদ্ধতিতে আখের রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করে থাকে। যার খ্যাতি রয়েছে জেলাজুড়ে। চাহিদাও ভালো।
চলতি বছর হবিগঞ্জ জেলায় ৪৯০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে লালিগুড় উৎপাদনের আখ ৩৯০ হেক্টর এবং চিবিয়ে খাওয়ার আখ লাগানো হয়েছে ১০০ হেক্টরে। ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, আখ চাষিদের প্রদর্শনী প্লট, বীজ, সার, কীটনাশক দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে। ফলে আখ চাষে নতুনভাবে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকে। তাদের আরও কীভাবে সহযোগিতা করা যায় তা নিয়ে কাজ চলছে।