হুন্ডি ও অবৈধ চ্যানেল কমে আসা, বৈধ পথে ডলারের একক মূল্য এবং ব্যাংকিং খাতে প্রণোদনামূলক ব্যবস্থার কারণে প্রবাসীরা এখন নিয়মিতভাবে ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করছেন। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বর্তমানে ৩০.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দাঁড়িয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আর নিট রিজার্ভ বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-এর ব্যালেন্স অব পেমেন্টস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট পজিশন ম্যানুয়াল (বিপিএম-৬) অনুযায়ী হিসেব করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী রিজার্ভের পরিমাণ ২৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এক বছরে ধাপে ধাপে বেড়ে রিজার্ভ এ উচ্চতায় উঠেছে।এক বছর আগে মোট রিজার্ভ ছিল ২৫.৮২ বিলিয়ন ডলার। আর নিট রিজার্ভ ছিল ২০.৩৯ বিলিয়ন ডলার। সে সময় ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ নেমেছিল ১৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে।
এদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই উৎস-প্রবাসী আয় ও পণ্য রপ্তানিতে ইতিবাচক ধারা বজায় থাকায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফিরেছে। এতে রিজার্ভের ওপর যে চাপ দীর্ঘদিন ধরে বিরাজ করছিল, তা অনেকটাই কমে এসেছে। টানা ১০ মাস ধরে বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করায় পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল হয়ে উঠছে।