X

দ্বিধাবিভক্ত আ’লীগের তৃণমূল

জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে এবার ¯’ানীয় সরকার নির্বাচনে মনোযোগ নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। সামনে দই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। ু পাশাপাশি চার ধাপে হবে দেশের বেশিরভাগ উপজেলার নির্বাচন। এরই মধ্যে ¯’ানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী বা প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। দলের এ সিদ্ধান্তের ফলে সম্ভাব্য অনেক প্রার্থীর ওপর তৈরি হয়েছে বাড়তি চাপ। দলীয় নেতাকর্মী ও ভোটারদের সš‘ষ্ট করেই জিতে আসতে হবে তাদের। যে কারণে এরই মধ্যে এলাকামখী হয়েছেন প্রার্থীরা। তবে ¯’ানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে প্রতীক দিয়ে যেমন বেকায়দায় পড়েছে আওয়ামী লীগ, হুট করে সেটি না দেওয়ার সিদ্ধান্তেও মিশ্র প্রতিμিয়া শুরু হয়েছে তণমৃ লে। এর ফলে কেন্দ্র তোষণে ব্যস্ত নেতারা পড়েছেন বেশি বিপাকে। যদিও উজ্জীবিত কর্মীনির্ভর নেতারা। সব মিলিয়ে পরিবেশ বেশ সরগরম হলেও দ্বিধাবিভক্ত আওয়ামী লীগের তণমৃল। একই দলের একাধিক প্রার্থী হওয়ায় কোন্দল আরও বাড়ছে।

গত ২২ জানয়ারি রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। দলটির
নেতারা বলছেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমলক ও উৎসবম ূ খর করতে এবং দলের ু
অভ্যন্তরীণ শঙ্খলা অক্ষ ৃ ণœ রাখার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত। একদিক থেকে ভালো ু
হয়েছে। প্রার্থীরা নিজেদের অব¯’ান যাচাই করে আসতে পারবেন। আরেক
দিক থেকে দেখা যায়, যারা রাজনীতিতে আপস করে, সব দলের সঙ্গে
ভেতরে ভেতরে সমন্বয় করে চলে, তারা এগিয়ে যাবে। পেছনে পড়ে যাবে
দলের পোড়খাওয়া প্রকত কর্মীরা। এই সিদ্ধান্তের ফলে দলের শ ৃ ঙ্খলা ফিরবে ৃ
নাকি বিশঙ্খলা বাড়বে, জানতে ত ৃ ণমৃ লের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছে। এ ূ
প্রশ্নে তাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিμিয়া দেখা দেয়। অনেকে বলছেন, ‘এটিকে
স্বাগত জানাই। এমন সিদ্ধান্ত দলের জন্য মঙ্গলজনক।’ আবার কেউ কেউ
বলছেন, ‘এটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের
জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। তবে সিটি করপোরেশনের মতো বড়
নির্বাচনে দলীয় প্রতীক প্রয়োজন।’ অনেকে আবার ভালোখারাপ দই দিকই ত ু লে ধরেছেন। ক ু মিল্লার চৌদ্দগ্রাম ু
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইসহাক খান
বলেন, ‘এটি একদিক থেকে ভালো হয়েছে। প্রার্থীরা
নিজেদের অব¯’ান যাচাই করে আসতে পারবেন।
অনেকাংশেই সঠিক নেতত্ব আসবে। আবার আরেক দিক ৃ
থেকে দেখা যায়, এই সযোগ নেবে বিরোধীরা। যারা ু
রাজনীতিতে আপস করে, সব দলের সঙ্গে ভেতরে ভেতরে
সমন্বয় করে চলে, তারা এগিয়ে যাবে। পেছনে পড়ে যাবে দলের
পোড়খাওয়া প্রকত কর্মীরা।’ এ নিয়ে কথা হয় ময়মনসিংহ জেলা ৃ
আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামল আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সিটি ূ
করপোরেশনে প্রতীক দেওয়ার দরকার ছিল। এটা বড় নির্বাচন। এরপরে
যেগুলো যেমন- উপজেলা, জেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে প্রতীক দরকার
নেই।’ ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামল হক টিট ু ু
বলেন, ‘আমাদের দলীয় সভাপতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আগামীতে ¯’ানীয়
সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকবে না। অবশ্যই সেই সিদ্ধান্তকে স্বাগত
জানাই। আমি মনে করি, উনার (শেখ হাসিনার) এ সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী।
অংশগ্রহণমলক নির্বাচনের জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Categories: জাতীয়
Main Admin:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings