অর্থপাচার মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার বাহারের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এর আগে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপপরিদর্শক খালিদ সাইফুল্লাহ আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
মাথায় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হাতকড়া পরানো অবস্থায় বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ প্রহরায় কাঠগড়ায় তোলা হয় খায়রুল বাশারকে। কাঠগড়ায় আসার পর তার হেলমেট খুলে দেওয়া হয়। তখন কালো মাস্ক খুলে হাসতে থাকেন বাশার।
তার উপস্থিতিতে শুনানি শুরু হয়। আসামির পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করা হয়।
শুনানির একপর্যায়ে বিচারক বাশারের কাছে জানতে চান, এই কাজগুলো কেন করলেন? বাশার তখন নিশ্চুপ ছিলেন।
ফের বিচারক বলেন, কোন কারণে তাদের বিদেশ পাঠাতে ব্যর্থ হন? তাহলে কেন টাকা ফেরত দেননি? তখনো তিনি কোনো উত্তর দেননি।
এরপর বিচারক বলেন, আপনার বিরুদ্ধে কতটা মামলা হয়েছে জানেন? তখন তিনি বলেন, আনুমানিক ৭০টা।
বিচারক বলেন, যতগুলো মামলা হয়েছে, মোকাবিলা করতে গেলে তো সারা জীবন কারাগারেই কেটে যাবে।
তখন বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, আপনার মানবিক সত্তা জাগ্রত হয়নি?
কয়টা বিয়ে করেছেন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, দুই। সন্তান কয়জন প্রশ্নে বাশার বলেন, ছয়জন।
তখন বিচারক বলেন, টাকা নিয়ে এসব শিক্ষার্থীর জীবন কেন হুমকির মুখে ফেললেন।
একবারও কি আপনার সন্তানদের কথা মনে পড়েনি?
শুনানি শেষে বিচারক তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনমতে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, আসামি খায়রুল বাশার, তার স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশার চটকদার বিজ্ঞাপনের ফাঁদে ফেলে সাধারণ ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য ১৪১ শিক্ষার্থীকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তারা ১৮ কোটি ২৯ লাখ ৫৭ হাজার ৬৮০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ৪ মে সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন বাদী হয়ে মামলা করেন।