নরসিংদীতে নিয়ন্ত্রণ হারানো যাত্রীবাহী একটি বাস ফ্লাইওভার থেকে উল্টে আছড়ে পড়ে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বাসটির ৪৫ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বাসাইল এলাকার ফ্লাইওভারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় নিহত যাত্রীর নাম মো. নুরুল ইসলাম (৫০)। তিনি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকার মো. আবুল মন্নাফের ছেলে। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের অনেকেই নরসিংদী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা। সম্মিলিত সহযোগিতায় দুর্ঘটনাকবলিত ওই বাসের ভেতর থেকে একে একে আহত সবাইকে উদ্ধারের পর নরসিংদী জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
রক্ত দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবীসহ হাসপাতালে গিয়েছিলেন ‘বিনিদ্র’ সংগঠনের সদস্য সাদমান হাসান। তিনি বলেন, ‘ঘটনা শুনেই দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি উদ্ধার অভিযান চলছে। বাসের ভেতর থেকে একেকজনকে উদ্ধার করা হচ্ছে, কয়েকজন মিলে তাঁকে কোলে তুলে দ্রুত হাসপাতালে নিচ্ছেন। হাসপাতালে গিয়ে দেখি, কারও হাত-পা ভেঙেছে, কেউ বা আবার মাথায় আঘাত পেয়েছেন। প্রায় সবাই কমবেশি রক্তাক্ত। তাঁদের মধ্যে পাঁচ-সাতজন নারী ও একজন শিশু ছিলেন। তবে কাউকেই রক্ত দিতে হয়নি।’
নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. রায়হান বলেন, ‘বাসটি ফ্লাইওভার থেকে এমনভাবে উল্টে পড়েছিল যে ভেতরে আটকে পড়া আহতদের উদ্ধার করার তেমন সুযোগ ছিল না। আমরা সেনাবাহিনী ও স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাসটির সামনের কাঁচ ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করি এবং এক এক করে আহতদের উদ্ধার করি। দুর্ঘটনাস্থলের কাছেই হাসপাতাল হওয়ায় অনেকেই প্রাণে বেঁচেছেন।’