X

নিহত সাংবাদিকের বাবা তুহিনকে এভাবে হত্যা করবে এটা ভাবতেও পারিনি

গাজীপুরের চৌরাস্তায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের ময়মন-আসাদুজ্জামান বা তুহিনের আয়মান্ডা গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। খবর শোনার পর থেকে বৃদ্ধা মা বকুল বেগমের আহাজারি কিছুতেই থামছে না। আহাজারি করতে করতে মাঝে-মধ্যেই জ্ঞান হারিয়ে মুর্ছা যাচ্ছেন জ্ঞান ফিরলেই আহাজারি করতে করতে বলছেন, আমার ছেলে তুহিনরে এভাবে হত্যা করবে এটা ভাবতেও পারছি না। কী দোষ ছিল আমার ছেলের। এই জীবনে আর তুহিনরে আমি দেখতে পারবো না। বৃদ্ধ পিতা হাসান জামাল জানান, ১৫ বছর আগে এক ছেলে মারা যাওয়ায় তার লাশ কাঁধে নিয়ে কবরে নামিয়েছি। এবার আরেক ছেলে তুহিনের লাশ কাঁধে নিতে হবে। বেঁচে থেকে ছেলেদের লাশ কাঁদে নিতে হয়, এর চেয়ে

দুর্ভাগা পিতা আর কে আছে? তিনি আরও বলেন, তুহিনের এমন মর্মান্তিক মৃত্যু এটা শুধু পরিবার না, এলাকার মানুষ মেনে নিতে পারছে না। যারা আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এ জীবনে দেখে যেতে চাই। চাচাতো ভাই নাসির উদ্দিন জানান, তুহিনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে শুধু পরিবার না, এলাকার মানুষ স্তব্ধ হয়ে গেছে। রাত থেকেই এলাকার মানুষ ভাটিপাড়া গ্রামের বাড়িতে ছুটে আসছে। তিনি আরও জানান, তুহিন এসএসসি পাস করার পর ফুলবাড়িয়া থেকে গাজীপুরে চলে যায়। তুহিন ছোটবেলা থেকে খুব শান্তশিষ্ট ছিল, এলাকার সবাই তাকে খুব পছন্দ করতো। তুহিনের এমন মৃত্যু কেউ মেনে নিতে পারছে না। দ্রুতই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের পুলিশ গ্রেপ্তার করবে এবং বিচারের আওতায় আনবে, এটাই সবার প্রত্যাশা। আসাদুজ্জামান তুহিনের মৃত্যুতে ময়মনসিংহের সাংবাদিক সমাজেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাবেক ট্রেজারার ও দৈনিক কালের কণ্ঠের নিজস্ব প্রতিবেদক নিয়ামুল কবীর সজল জানান, গাজীপুরের সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে এটা বর্বরোচিত ঘটনা ছাড়া আর কিছুই না। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। দ্রুতই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনার দাবি করছি। নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট। উল্লেখ্য, গাজীপুর নগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন।

Md Abu Bakar Siddique:
X

Headline

You can control the ways in which we improve and personalize your experience. Please choose whether you wish to allow the following:

Privacy Settings